প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানিকৃত পশুর চামড়ার দর সরকার নির্ধারন করে দিলেও তার চেয়েও কম দামে চামড়া কিনছেন ব্যবসায়ীরা। গরুর চামড়া নির্ধারিত দরের কমে কেনার পাশাপাশি ছাগলের চামড়া বিক্রি হচ্ছে একেবারে পানির দরে।
শনিবার ঈদের দিন দুপুরে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই চামড়া সংগ্রহ করে এখানে বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন। আড়াতদার ও ট্যানারি মালিকরা সেসব চামড়া কিনলেও দাম দিচ্ছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত দরের চেয়েও অনেক কম।
পুরান ঢাকার বকশি বাজার থেকে বেশ কয়েকটি ছাগলের চামড়া সংগ্রহ করে বিক্রি করতে এনেছিলেন ইউনূস মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, বড় ছোট মিলিয়ে প্রতিটি চামড়া মাত্র চল্লিশ টাকা করে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন।
মহামারীকালে এবার কোরবানির ঈদে রাজধানীর পাড়া-মহল্লায় ফড়িয়া বা মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের তেমন একটা দেখা যায়নি। তবে হতদরিদ্র ও বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহে দেখা গেছে।
এসব কাঁচা চামড়ার অধিকাংশই শনিবার দুপুরে রাজধানীর সাইন্সল্যাব মোড়ে কেনাবেচা করতে দেখা গেছে। এখানে প্রতিটি বড় গরুর চামড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি চামড়া ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা ও ছোট দেড়শ থেকে ৩০০ টাকা। প্রতিটি খাসির বড় চামড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও ছোট চামড়া ২০ থেকে ২৫ টাকায় কিনছেন ব্যবসায়ীরা।
যদিও চামড়া খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতিবর্গ ফুট গরুর লবণযুক্ত চামড়া ঢাকায় ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও ঢাকার বাইরে ২৮ থেকে ৩২ টাকা নির্ধারণ করে। আর খাসির চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা ও বকরি ১০ থেকে ১২ টাকা দর নির্ধারণ করা হয়েছিল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত এই দরে ঢাকায় লবণ ছাড়া প্রতিটি ছোট গরুর চামড়া ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাঝারি গরু ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা ও বড় গরু ১২০০ থেকে দেড় হাজার টাকার উপরে বিক্রি হওয়ার কথা। ঢাকার বাইরে ছোট চামড়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মাঝারি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা ও বড় চামড়া ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা।
অথচ দেখা গেছে, নির্ধারিত এই দরের চেয়ে অনেক কমে বিক্রি হচ্ছে গরুর চামড়া। আর ছাগলের চামড়া অনেকটা পানির দামে বিক্রি হচ্ছে।