ভারতের কেরালায় অবতরণের সময় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় আরও ৯জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দুই টুকরো হয়ে যাওয়া বিমানটির পাইলটসহ মোট ২০ জনের মৃত্যু হলো। মৃতদের মধ্যে চার শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন বিমানটির আরও শতাধিক যাত্রী। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা শঙ্কাজনক। খবর হিন্দুস্থান টাইমসের।
শুক্রবার রাত পৌনে ৮টা নাগাদ কেরালার কোঝিকোড়ের কারুপুর বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমানটি। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি দুবাই থেকে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে আসছিল।
বিমানটিতে মোট ১৭৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রী, ১০টি শিশু এবং চারজন কেবিন ক্রু ছিলেন। করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার অংশ হিসেবেই এটি কালিকট বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
ভারতীয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যে অবতরণের সময় বিমানটি পূর্ণ গতিতে ছিল। সেটি রানওয়ে থেকে পিছলে বেরিয়ে যায়।
টুইটারে দেওয়া পোস্টে ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি জানিয়েছেন, এ ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ডিজিসিএ জানিয়েছে, প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই বিমানটি অবতরণ করছিল। দৃশ্যমানতা ছিল ২০০০ মিটার। বিমানটি রানওয়ে ওয়ান জিরো ছোঁয়ার পরে না থেমেই রানওয়ের শেষ মাথায় চলে যায় আর তারপরে সেটি ছাড়িয়ে সামনের উপত্যকায় গিয়ে পড়ে। তখনই বিমানটি দুটো টুকরো হয়ে যায়।
বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি জানান, বৃষ্টির মধ্যে পিছলে যায় বিমানটি। বিমানবন্দরের দেয়াল ভেঙে সেটি ৩৫ ফুট এগিয়ে যায়। বিমানটি দুই টুকরো হয়ে গেছে।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ২৪টি অ্যাম্বুল্যান্স এবং দমকলবাহিনী-সহ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী গিয়ে উদ্ধারকাজ চালায়। আহতদের মধ্যে আরও কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। ফলে নিহতের সংখ্য়া আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।