ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওসমানীনগরে মামুন পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে আরও একজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে এক শিশুর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে রাতের ওই দুর্ঘটনায় এক পরিবারের তিন শিশুকন্যাসহ ছয়জনের মৃত্যু হলো।
নিহতরা হলেন- ওসমানীনগর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে অটোরিকশাচালক জুনেদ মিয়া, তার সহযোগী জাহাঙ্গীর আলম, একই উপজেলার গোয়ালাবাজারের ব্রাহ্মণগ্রামের কমরু মিয়ার মেয়ে আরিফা বেগম (১২), খাদিজা বেগম (২), খাদিজার খালা হামিদা বেগম (৩৫) ও কমরু মিয়ার ভাতিজি ফজলে মিয়ার মেয়ে কারিমা বেগম (৩)।
হাইওয়ে পুলিশের শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এরশাদুল হক ভূঁইয়া জানান, রাত ৮টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাদীপুর গজিয়া এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী মামুন পরিবহনের একটি বাস ও বিপরীত দিক থেকে শেরপুরগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হন। গুরুতর আহত হন আরও সাতজন। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুসহ আরও চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন। রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা নামের আরেক শিশুর মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। তবে মামুন পরিবহনের বাসের চালক পালিয়ে গেছেন। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।