মানুষের জীবনের মতো করোনা ভাইরাস মেট্রোরেলেরও সবকিছু ওলটপালট করে দিয়েছে। করোনায় নতুন নতুন সংকট শুরু হয় মেট্রোরেল প্রকল্পে, সমাধানের জন্যও খোঁজা হয় পথ। এই মহামারিতে মেট্রোরেলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হাসপাতাল নির্মাণসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মেট্রোরেল প্রকল্পের উদ্যোগে নির্মিত ফিল্ড হাসপাতাল উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্পে অধিকাংশ জাপান ও থাইল্যান্ডের প্রকৌশলী পরামর্শকরাই কাজ করছেন। সংশ্লিষ্টদের করোনা শনাক্ত হলে কিংবা উপসর্গ থাকলে প্রকল্প এলাকায় কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি করোনাকালে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের প্রকল্প এলাকায় আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনা দীর্ঘায়িত হতে পারে এমন বিবেচনায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কর্মীদের জন্য দুটি ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করেছে। উত্তরার পঞ্চবটী কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ১৪ শয্যাবিশিষ্ট এবং গাবতলীর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ১০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে আইসিইউ সুবিধাসহ সব সুবিধাই রাখা হয়েছে। দেশে কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য হাসপাতাল নির্মাণের নজির এই প্রথম। এটি মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মীদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল।
কাদের বলেন, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসন এবং গণপরিবহনের সক্ষমতা বাড়াতে ছয়টি মেট্রোরেল রুট নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এর আওতায় নির্মাণ করা হবে ১২৮ কিলোমিটার রুট, যার ৬৭ কিলোমিটার হবে উড়াল পথে এবং ৬১ কিলোমিটার হবে পাতাল পথে।
উত্তরা ও গাবতলী ইয়ার্ডে নির্মিত হাসপাতাল ২টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও তত্ত্বাবধায়করা বলেন, করোনাকালে চলমান কাজে কিছুটা ধীরগতি থাকলেও এখন আর সেই সমস্যা হবে না। তারা বলেন এই হাসপাতালে আধুনিক মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক ও প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।