পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের উপনির্বাচনে বেসরকারি ফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে পাবনা জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নুরুজ্জামান বিশ্বাস পেয়েছেন ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকের হাবিবুর রহমান হাবিব পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৭৬ ভোট। জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৩০৭৪ ভোট। হাবিবুর রহমান হাবিবের চেয়ে নুরুজ্জামান বিশ্বাস ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪৮ ভোট বেশি পেয়েছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলার ৮৪টি ভোট কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস পেয়েছেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৮৪ ভোট, হাবিবুর রহমান হাবিব পেয়েছেন ৪ হাজার ৫১ ভোট, আর লাঙল প্রতীকের রেজাউল করিম পেয়েছেন ১ হাজার ৩৪৬ ভোট।
আটঘরিয়া উপজেলায় ৪৫টি কেন্দ্রে নুরুজ্জামান বিশ্বাস পেয়েছেন ৯০ হাজার ৬৪০ ভোট, হাবিবুর রহমান হাবিব পেয়েছেন ১ হাজার ৫২৫ ভোট, লাঙল প্রতীকের রেজাউল করিম পেয়েছেন ১ হাজার ৭২৮ ভোট।
পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে সর্বমোট ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৮১ হাজার ১১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯১ হাজার ৭১২ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮৯ হাজার চারশ জন। ঈশ্বরদী উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৯৭ জন এবং আটঘরিয়া উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৫ জন।
ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব শনিবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভোট বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস বিজয়ের ফলাফল পাওয়ার পর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় ভোটারদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও এই নির্বাচনের সমন্বয়ক এস এম কামাল হোসেন আ. লীগ প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় পাবনার ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়ার মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, পাবনার ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত পাবনা-৪ সংসদীয় আসন। গত ৫টি মেয়াদে আওয়ামী লীগ নেতা শামসুর রহমান শরীফ ডিলু এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত ২ এপ্রিল তিনি ইন্তেকাল করায় আসনটি শূন্য হয়।