১৬ ডিসেম্বরের আগেই রাজাকারের আংশিক তালিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজাকার
রাজাকার। ফাইল ছবি

‘আগামী ১৬ ডিসেম্বরের আগেই রাজাকারদের আংশিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছি। সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে আমরা একটা মিটিং করব। কিছু তালিকা সংগ্রহ করেছি। আশা করছি ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে আংশিক তালিকা প্রকাশ করব। পর্যায়ক্রমে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।’-বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

আজ রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ-সংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়কও শাজাহান খান।

তিনি বলেন, এ-সংক্রান্ত উপকমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তারা সংসদ সদস্যদের মধ্যে যারা মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আছেন, তাদের নিয়ে কাজ করবেন। আরও তথ্য নেয়া হবে যুদ্ধকালীন কমান্ডার এবং উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড থেকে।

এর আগে গত ৯ আগস্ট রাজাকারের তালিকা তৈরি করতে ছয় সদস্যের উপকমিটি গঠন করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। এরপর রাজাকারদের আংশিক তালিকা প্রকাশ করা হলেও ক্ষোভ-প্রতিবাদের মুখে তালিকা স্থগিত করা হয়।

রাজাকার, আলবদরসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের নামের তালিকায় বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার নাম থাকায় এ নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষাপটে শেষ পর্যন্ত তা প্রকাশের তিনদিন পর গত ১৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেই তালিকা স্থগিত করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের এমডির বিরুদ্ধে তদন্ত

এদিকে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনিয়ম তদন্তে সংসদীয় সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে বৈঠকে। কমিটির সভাপতি শাজাহান খানকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন কাজী ফিরোজ রশীদ ও মোসলেম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন এবং একজন মুক্তিযোদ্ধার পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়ে এ সাব-কমিটি গঠন করা হয়।

সংসদীয় কমিটির বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খেতাবপ্রাপ্ত শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সদ্য সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গণি কমিটির কাছে লিখিত আবেদন করে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি মো. ইফতেখারুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানান। চিঠিতে তারা এমডির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে