পেয়ারা সারা পৃথিবীতে ভীষণ পরিচিত একটি ফল। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে এই ফল পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এখন শহর এলাকা গুলোতে দেশি পেয়ারার তুলনায় চাষ করা পেয়ারা পাওয়া যায় সারা বছর।
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। ভিটামিন এ চোখ, চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। শিশু বয়স থেকে এই ফল খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
ভিটামিন সি পুরো দেহের চামড়ার পুষ্টি যোগায়, বহুবিধ ছোঁয়াচে অসুখ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। গরম ও ঠাণ্ডাজনিত অসুখগুলো থেকে রক্ষা করে এই ফল।
পেয়ারাতে রয়েছে কারটিনয়েড নামক এক উপাদান, যা ভাইরাসজনিত ইনফেকশন কে প্রতিহত করে। ডায়রিয়ার জীবাণুকে করে দুর্বল। তারুণ্য বজায় রাখতে যুদ্ধ করে দেহের বিষাক্ত উপাদানগুলোর বিরুদ্ধে।
পেয়ারাতে আরো আছে উপকারী বন্ধু ভিটামিন বি। এই ভিটামিন বেরিবেরি অসুখ দূর করে, রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। মুখ ও ঠোটের কোণায় ঘা, স্নায়ু দুর্বলতা কমাতে সাহায্য করে।
পেয়ারার খোসাতে রয়েছে ফাইবার, যা খাবার হজমে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। ডায়াবেটিক রোগীর জন্য ফাইবার জাতীয় খাবার ও ফল খুব দরকারি।
তবে ডায়াবেটিক রোগী ও মোটা মানুষেরা মিষ্টি পেয়ারা কম খাবেন। কিছুটা কাচা পেয়ারা তাদের জন্য বয়ে আনবে সুফল।
পেয়ারা শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমায়। বেড়ে যাওয়া ইউরিক এসিড দেহে বাত অসুখ তৈরী করে। তাই নিয়মিত পেয়ারা খান। তবে কিডনির জটিলতায় আক্রান্ত হলে, চিকিৎসক এর পরামর্শ মেনে যেকোনো ফল বা খাবার খাওয়া উচিৎ।
অনেকেই পেয়ারার বীজ হজম করতে পারেন না। তাই হজমে সমস্যা থাকলে বীজ ফেলে পেয়ারা খান। এই ফলের পুষ্টিগুণ তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়। তাই ফ্রিজ এ সংরক্ষণ না করাই ভালো।