বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সাহায্যার্থে নির্ধারিত ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্ধেকও জোগাড় করতে পারেনি জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সামনের সপ্তাহেই দাতা সম্মেলনের আয়োজন করবে তারা।
বিবৃতিতে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সংহতি মানে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের চেয়েও বেশি কিছু। অন্য সবার মতো শরণার্থীদেরও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের অধিকার এবং নিরাপদ ও স্থিতিশীল ভবিষ্যত গড়ার সুযোগ রয়েছে।
২০১৭ সালে মিয়ানমার সরকারের নির্দেশে দেশটির সেনাবাহিনীর ভয়াবহ নির্যাতন ও গণহত্যার মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে অন্তত সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। এর কয়ক বছর আগেও একই কারণে রাখাইন থেকে পালিয়ে এদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন লক্ষাধিক রোহিঙ্গা।
বর্তমানে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাস করছেন অন্তত ৮ লাখ ৬০ হাজার মানুষ। বলা হচ্ছে, এটিই বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণাথী শিবির।
ইএনএইচসিআর জানিয়েছে, আগামী ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য দাতা সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত অর্থ রোহিঙ্গাদের খাদ্য, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সহায়তায় ব্যয় করা হবে।
তবে সম্মেলন থেকে কী পরিমাণ অর্থ জোগাড় হতে পারে তা জানানো হয়নি।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্টদের আরও চাপ দেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থাটি।
ইএনএইচসিআরের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যও রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা