সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মৃত্যুতে পৃথক গভীর শোক প্রকাশ করছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রবীণ এ আইনজীবী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর।
গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক শোকবার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি প্রবীণ আইনজীবী রফিক-উল হকের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
এদিকে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
এ প্রথিতযশা আইনজীবীর সততা ও নিষ্ঠার কথা স্মরণ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ও আইনি বিষয় নিয়ে তিনি আদালতকে সবসময় সহযোগিতা করেছেন। আইনের শাসন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তার অবদান অনস্বীকার্য। তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছেন তিনি।
গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৭ অক্টোবর তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করলে বাসায় ফিরে যান। কিন্তু বাসায় ফেরার পরপরই আবার তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। রক্তশূন্যতা, ইউরিন সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছেন তিনি। ব্যারিস্টার রফিক-উল হক লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি।
রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে। তার বাল্যকাল কেটেছে কলকাতার চেতলায়। ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে তৎকালীন পাকিস্তানের নাগরিক হয়ে চলে আসেন ঢাকায়।