দেশের নদনদীগুলোর স্রোতধারা যেন প্রবহমান থাকে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নদীভাঙন রোধে এটা প্রধান কৌশল বলে মনে করেন সরকারপ্রধান।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। শেরেবাংলানগর পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণবভন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হন।
আজকের একনেক সভায় ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অবকাঠামো পুনর্বাসন ও অর্থনৈতিক গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে পাঁচ হাজার ৯০৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।
সভাশেষে পরিকল্পনা সচিব মো. আসাদুল ইসলাম প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত ব্রিফ করেন। তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের ১৫তম একনেক সভায় আজ পাঁচটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে সাত হাজার ৫০৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা সচিব মো. আসাদুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুততম সময়ে সড়ক পুনর্নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্টদের অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে বলেন, যাতে কোনোভাবে ওভারল্যাপিং না হয়।
একনেক সভায় ৭৯৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে যমুনা নদীর ডানতীরের ভাঙন থেকে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলাধীন কাতলামারী ও সাঘাটা উপজেলাধীন গোবিন্দি এবং হলদিয়া এলাকা রক্ষা প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
পরিকল্পনা সচিব আসাদুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নদীভাঙ্গন রোধের প্রধান কৌশল হতে হবে পানির স্রোত বা প্রবাহ ধরে রাখা। এর জন্য নদী খননের মাধ্যমে নাব্য বজায় রাখতে হবে। কোনো কারণে যেন পানির স্রোত কোথাও বন্ধ না হয়, সেদিকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে মনোযোগ দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগকে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেন।