বাবর আজমকে ‘দীর্ঘ মেয়াদি’ অধিনায়ক করলো পাকিস্তান

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাবর আজম
বাবর আজম। ফাইল ছবি

মাত্র দু’দিন আগে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়েছিল এক নারী। লাহোরে সংবাদ সম্মেলন করে সেই নারী অভিযোগ করেছিলেন, তার সঙ্গে বাবরের ১০ বছরের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত করেছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক। খারাপ সময়গুলোতে বাবরকে আর্থিক সহায়তা করেছিলেন। বিয়ের দাবি তোলার পর তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন।

ভাবা হচ্ছিল, নিউজিল্যান্ড সফররত পাকিস্তান অধিনায়কের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের এই অভিযোগ বেশ ভালোভাবেই আমলে নেবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। কিন্তু বাবর আজমকে ঘিরে তৈরি হওয়া সব বিতর্ককে দুরে ঠেলে দিলো পিসিবি। শুধু তাই নয়, তিন ফরম্যাটে তাকে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবেও ঘোষণা করলো পাকিস্তান ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা।

নভেম্বরের শুরুতেই আজহার আলীকে সরিয়ে দিয়ে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বাবর আজমকে নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট অধিনায়কত্বও প্রদান করা হয়। ভাবা হচ্ছিল, নিউজিল্যান্ড সফরে বাবরের নেতৃত্ব দেখে হয়তো একটা সিদ্ধান্ত নেবে পিসিবি। কিন্তু তার আগেই বাবরকে তিন ফরম্যাটেই দীর্ঘ মেয়াদের জন্য দায়িত্ব দেয়ার ঘোষণা করলো পিসিবি।

পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান বলেন, ‘এহসান মানি (পিসিবি চেয়ারম্যান) এবং আমি (প্রধান নির্বাহী) পিসিবিতে যতদিন আছি, ততদিনই সব ফরম্যাটে নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করে যাবেন বাবর আজম।’

কেন বাবর আজমের প্রতি এতটা আস্থা রাখছেন পিসিবির শীর্ষ কর্মকর্তারা? ক্রিকেট বাজের এক ইউটিউব আলোচনায় পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান এর কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘কারণ, তিনি আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান। তরুণ এবং মানসিকভাবে খুবই শক্তিশালী। সে নিজেও চায়, তিন ফরম্যাটেই পাকিস্তান দলকে নেতৃত্ব দিতে। তার ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। এ কারণে, যখন সময় এসেছিল, তখন আজহার আলীকে আমরা দায়িত্ব দিয়েছিলাম। এখন বাবর আজমের বেড়ে ওঠার সময়। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবেও সে নিজেকে বেশ যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলবেন আশা করি।’

  • গত তিন বছরে এ নিয়ে চতুর্থবার টেস্ট অধিনায়ক পরিবর্তন করলো পাকিস্তান। প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খানের এই ঘোষণার পর বোঝা যাচ্ছে, নেতৃত্বের ব্যাপারে পিসিবি তাদের পলিসিতে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। সরফরাজ আহমেদের সময় তাকে দায়িত্ব দেয়া হতো সিরিজ বাই সিরিজ। দীর্ঘ মেয়াদে তাকে কখনো অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়নি।

আজহার আলিও কোনোভাবে দীর্ঘ সময়ের জন্য পাকিস্তান টেস্ট দলের নেতৃত্বের গ্যারান্টি পাননি। অথচ, অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট পরিচালনা করতে নামার আগেই ‘দীর্ঘ মেয়াদে’র জন্য প্রতিশ্রুতি পেয়ে গেলেন বাবর আজম।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে