তুরস্ক ইসরায়েলের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বলে মন্তব্য করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তবে ফিলিস্তিনের প্রতি ইসরায়েলের নীতি ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলেও সমালোচনা করেন তিনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
শুক্রবার জুম্মার পরে ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে এরদোগান বলেন, ইসরায়েলের ‘উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে’ তুরস্কের ইস্যু রয়েছে। এই ইস্যুগুলো না থাকলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও ভালো হত বলে মন্তব্য করেন এরদোগান।
এরদোগান বলেন, ফিলিস্তিন নীতি আমাদের লাল দাগ। ইসরায়েলের ফিলিস্তিন নীতি আমাদের পক্ষে গ্রহণ করা অসম্ভব। তাদের প্রতি ইসরায়েলের নিষ্ঠুর আচরণ অগ্রহণযোগ্য।
তিনি আরও বলেন, উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে যদি আমাদের ইস্যু না থাকত, তাহলে আমাদের সম্পর্ক অন্যরকম হতে পারত।
উল্লেখ্য, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কই ইসরায়েলকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়। এরদোগান ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে তুরস্কের উষ্ণ ও শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিল। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখল ও ফিলিস্তিনের প্রতি তাদের আচরণ নিয়ে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে আঙ্কারা একাধিকবার সমালোচনা করেছে।
২০১০ সালে তুরস্কের একটি জাহাজ ফিলিস্তিনে ত্রাণ দিতে গেলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দ্বারা ১০ জন তুর্কি নাগরিক নিহত হন। এ ঘটনা পর তুরস্ক ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবসান করে।
২০১৬ সালে দুই দেশের সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হয়ে আসে কিন্তু ২০১৮ সালে আবারও খারাপ দিকে যায়। সে বছর ডোনাল্ড ট্রাম্প তেল আবিবে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নিলে আঙ্কারা ইসরায়েল থেকে তাদের কূটনীতিককে প্রত্যাহার করে নেয়।
এরদোগান ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মধ্যে একাধিকবার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটলেও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক আদান-প্রদান অব্যাহত রয়েছে। এ বছরের আগস্টে ইসরায়েল অভিযোগ করে, বেশ কয়েকজন হামাস সদস্যকে ইস্তাম্বুল পাসপোর্ট প্রদান করেছে। এ ঘটনাকে ‘খুবই অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনের প্রতি ইসরায়েলের নীতি নিয়ে এরদোগান সমালোচনা করলেও দুই বছর পর আঙ্কারা ইসরায়েলে নতুন কূটনীতিক নিয়োগ করেছে বলে খবরে এসেছে।