অবশেষে খুলতে যাচ্ছে প্রাথমিকের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পদোন্নতির দুয়ার। এজন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০২০ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমানে সেটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) থেকে জানা গেছে।
জানা গেছে, নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন অনুমোদন পেলে সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষক, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সহকারী পরিচালক, এমনকি সর্বোচ্চ পরিচালক পর্যন্ত পদোন্নতি পাবেন । বর্তমানে পরিচালক নিয়োগ করা হয় বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডার থেকে। এই নিয়োগবিধির আওতায় এবারই প্রথম প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন থেকে পরিচালক নিয়োগ করা হবে।
পাশাপাশি খসড়ায় প্রাইমারি টিচার ইন্সটিটিউটে (পিটিআই) কয়েকটি বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হলেও মৌলিক বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের প্রশিক্ষক ছিল না। বর্তমানে এই তিন বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে তাদের মাধ্যমে বিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রশিক্ষক দিতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বুধবার বলেন, প্রাথমিকে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে ও শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের হতাশা দূরীকরণে তাদের পদোন্নতির রাস্তা খুলে দেয়া হচ্ছে। এজন্য একটি অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা তৈরি করা হচ্ছে। বর্তমানে সেটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষকদের কর্মকর্তা বা কর্মচারী ভাবতে চাই না। তারা শিক্ষক, তারা সম্মানীয়। তাই তাদের জন্য আমরা ১৯৮৫ সালের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের গেজেটেড অফিসার ও নন-গেজেটেড কর্মচারীদের নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করছি। সেটি মন্ত্রণালয়ে খসড়া পাঠানো হয়েছে।
দীর্ঘ দিন ধরে বেতন গ্রেড নিয়ে অসন্তোষের পর সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকের বিভাগীয় পদোন্নতি নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকরা সোচ্চার হয়ে ওঠেন। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে লিখিত আবেদনও জানানো হয়।
যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। সংশোধন খসড়ায় সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের পরিচালক পর্যন্ত পদোন্নতির বিধান রাখা হয়।