কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স এবার খোলা হলো প্রায় পাঁচ মাস পর। এতে আটটি সিন্দুকে নগদ পাওয়া গেছে দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা। এছাড়া বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে।
আজ শনিবার বিকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এই তথ্য।
এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ২২ আগস্ট খোলা হয়েছিল দানবাক্স। তখন এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে পাঁচ মাস চার দিন পর খোলা হলো আটটি সিন্দুক।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানান, সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি সিন্দুক খোলা হয়। প্রথমে দানসিন্দুক থেকে টাকা বস্তায় ভরা হয়। এবার সবচেয়ে বেশি ১৪ বস্তা টাকা জমা হয়েছে সিন্দুকে। পরে বস্তা খুলে শুরু হয় টাকা গণনার কাজ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে টাকা গণনায় মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ছাড়াও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
- আরও পড়ুন >> মুজিববর্ষে এটিই আমাদের বড় উৎসব: শেখ হাসিনা
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এই মসজিদটি গড়ে উঠে। সময়ের বিবর্তনে মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবন। দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। এই মসজিদের আয় দিয়ে কমপ্লেক্সের বিশাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে প্রতিদিন হাজারও মানুষ এখানে নানা ধরনের অনুদান নিয়ে আসেন।