মিয়ানমারে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পর ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) নতুন সামরিক জান্তার বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং।
অবশ্য কবে নাগাদ নির্বাচন দেয়া হতে পারে সে বিষয়ে কোনো সময়সীমা জানায়নি মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বৈঠকের সারাংশ তুলে ধরে জানানো হয়েছে, দেশটিতে সুষ্ঠু ও সত্যিকারের শৃঙ্খলাপূর্ণ বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অনুশীলনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কমান্ডার-ইন-চিফ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেইং।
সেনা প্রধানের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, আমরা সম্পূর্ণ ভারসাম্য ও ন্যায়বিচারের সাথে সত্যিকারের বহুদলীয় গণতন্ত্র সম্পাদন করব। একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরে এবং জরুরি বিধানের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ক্ষমতা স্থানান্তর করা হবে।
গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ৮৩ শতাংশ আসন পায়। ২০১১ সালে সামরিক শাসন শেষ হওয়ার পর দেশটিতে এটি দ্বিতীয় নির্বাচন ছিল। এতে এনএলডি ৪৭৬টির মধ্যে ৩৯৬টি আসনে জয় পায়। অন্যদিকে, সেনাসমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি পায় মাত্র ৩৩টি আসন। এই জয়ের মধ্য দিয়ে সু চির দল আরেক দফায় পাঁচ বছরের জন্য দেশ শাসনের সুযোগ পায়।
তবে, সামরিক জান্তাদের দাবি ওই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছিল।ভোটের ফলাফল মেনে নেয়নি সামরিক বাহিনী। তারা সুপ্রিম কোর্টে দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং নির্বাচন কমিশনের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।
এরপর সোমবার সকালে সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে আটক করে অভ্যুত্থান ঘোষণা করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, এই সমস্যার সমাধান না হলে এটি গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে। আইন অনুযায়ী, এই সমস্যার অবশ্যই সমাধান করতে হবে। একারণে ২০০৮ সালের সংবিধানের ৪১৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। আগামী এক বছর এই জরুরি অবস্থা বহাল থাকবে।