আজ পয়লা ফাগুন। বাংলা মাসের হিসাবে ফাল্গুন ও চৈত্র এই দুই মাস ঋতুরাজ বসন্ত। গত বছর পর্যন্ত দেশে ১৩ ফেব্রুয়ারি পয়লা ফাল্গুন উদযাপিত হয়ে থাকলেও এরপর বাংলা ক্যালেন্ডারে একটু পরিবর্তন আসায় এবার থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি বসন্ত মাস ফাল্গুনের শুরু হবে।
প্রতি বছর বর্ণাঢ্য আয়োজনে বসন্তবরণ করা হলেও এবার করোনা ভাইরাসের কারণে স্বল্প পরিসরে বসন্তবরণের আয়োজন করা হয়েছে।
ফাল্গুনের প্রথম দিনে এবারও বসন্তকে বরণ করে নেবে ঢাকাবাসী। রঙ বেরঙের পোশাকের বাহারি ফুলেল উপস্থিতিতে সে এক অন্যরকম আমেজ দেখা দেবে। পোশাক ও মননে বসন্ত বরণের নয়ন জুড়ানো দৃশ্য দেখা যাবে রাজধানীতে।
বাসন্তী কিংবা হলুদ রঙের শাড়ির সঙ্গে খোঁপায় গাঁদা ফুলের বন্ধনী অথবা মাথায় ফুলের টায়রা পরে ঘুরতে বেরোবে নারীরা। বাসন্তী সাজে তারা ঘুরে বেড়াবে রমনা পার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ রাজধানীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।
সকাল থেকে হলুদসহ বাহারি রঙের পাঞ্জাবি বা ফতুয়া পড়ে ঢাকায় বেরোবে কিশোর-তরুণ-তরুণীরা। শিশুদের পোশাকেও দেখা যাবে নানা রঙের সমাহার। শিশু কিশোর থেকে শুরু করে সকলেই সাজবে নতুন সাঝে।
প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চে সকাল ৭.২৫ মিনিট থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে বসন্ত উৎসব ১৪২৭ আয়োজন করা হবে। এবার কোভিড-১৯ এর কারণে অনুষ্ঠানের স্থল পরিবর্তন ও অনুষ্ঠান সংকুচিত করা হয়েছে।
এছাড়াও একই দিনে বিকাল ৩.৩০ মিনিট থেকে গেন্ডারিয়ার সীমান্ত গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণ ও উত্তরার আজমপুর প্রাইমারি স্কুল মাঠে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এসব উৎসব স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরিচালিত হবে। এছাড়াও দেশের নানা জায়গায় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নাচ, গান, আবৃত্তিসহ নানা আয়োজনে পহেলা ফাগুন ও ভ্যালেনটাইন’স ডে উদযাপন করবে। তবে করোনা মহামারির কারণে এবারের সব আয়োজন থাকবে স্বল্প পরিসরের ও সীমিত সময়ের জন্য।