বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচার সংবিধান লঙ্ঘন করে কারাগারের আদালতে করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফখরুল তিনি অভিযোগ করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংবিধান এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী কোনো অসুস্থ নাগরিক সুস্থ না হলে বিচারকার্য চালানো যায় না। এটা সম্পূর্ণ অমানবিক এবং সংবিধান পরিপন্থী।
তিনি বলেন, গতকাল বিকালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাত করেছেন। তারা জানিয়েছেন, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। তার বা হাত ও বাম পা প্রায় অবশ হয়ে গেছে। অসহ্য ব্যথা অনুভব করছেন তিনি।
মির্জ ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার কোনো চিকিৎসা হচ্ছে না। আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন তার স্বাস্থ্য নিয়ে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে মিথ্যা সাজানো মামলায় শাস্তি দিয়ে কারাগারে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা বলেছেন, তিনি মারাত্মকভাবে অসুস্থ। অবিলম্বে বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করে তাকে চিকিৎসা দেয়া তার জীবন রক্ষার জন্য অতি প্রয়োজন।
‘সরকার শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করবার জন্য তাকে কোনো চিকিৎসা না দিয়ে পরিত্যক্ত নির্জন কারাগারে আবদ্ধ করে রেখেছে।’
ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে এবং আসন্ন নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রেখে একতরফাভাবে নির্বাচন এবং নিজেদের নির্বাচিত ঘোষণা করার নীলনকশার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে সরকার।
সারা দেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার হীনপ্রচেষ্টায় সরকার লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। অন্যথায় সব দায়দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। বিশেষ করে সংবিধান ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তাদের অভিযুক্ত হতে হবে।
‘কারা কর্তৃপক্ষকেও স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্তৃপক্ষ। আপনাদের দায়িত্ব সুস্পষ্টভাবে আইন ও বিধান দ্বারা পরিচালিত। এ দায় আপনাদেরকেও বহন করতে হবে।’