চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক

এ টি এম শামসুজ্জামান
এটিএম শামসুজ্জামান। ফাইল ছবি

কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বাদ আসর রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে বড় ছেলের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তিনি। এর আগে বাদ জোহর নারিন্দায় পীর সাহেব বাড়ি জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাদ আসর সূত্রাপুর জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে জুরাইন কবরাস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

মৃত্যুকালে এটিএম শামসুজ্জামানের বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর পাঁচ মাস ১০ দিন। তিনি স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। প্রখ্যাত ও শক্তিমান এই অভিনেতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, এই অভিনেতার পূর্ণাঙ্গ নাম আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান। তিনি এটিএম শামসুজ্জামান হিসেবেই অধিক পরিচিত। তিনি ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার ভোলাকোটের বড় বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে।

পড়াশোনা করেছেন ঢাকার পগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাই স্কুলে। পগোজ স্কুলে তার বন্ধু ছিল আরেক অভিনেতা প্রবীর মিত্র। ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট হাই স্কুল থেকে। তারপর জগন্নাথ কলেজে (বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হন।

তার বাবা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল এবং শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। মাতা নুরুন্নেসা বেগম। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়। এটিএম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র জীবনের শুরু ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন জলছবি চলচ্চিত্রের জন্য।

অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের নয়নমণি চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন তিনি।

শেয়ার করুন