কসবায় আইনমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তুমুল সংঘর্ষ, আহত ১০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের উপস্থিতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুই মেয়রপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে বর্তমান মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল এবং মেয়রপ্রার্থী এমএ আজিজের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ১০ জন আহত হয়। ভাঙচুর করাহয় ৫টি মোটরসাইকেল।

এদিকে মন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালে উপজেলা পরিষদের বাইরের সড়কে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে মন্ত্রী দুপুর ১২টার দিকে সভাস্থল ত্যাগ করেন। এ সময় পুলিশ সংঘর্ষে জড়িতদের ছত্রভঙ্গ করেন। পরে মন্ত্রী পুলিশি পাহারায় সভাস্থল ত্যাগ করে গ্রামের বাড়ি চলে যান।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘ এক বছরের মাথায় মন্ত্রী তার নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবা আসেন। মন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে বর্তমান মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল সর্মথকরা উপজেলা কমপ্লেক্স এর কাছে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় অপর মেয়রপ্রার্থী এমএ আজিজের সমর্থকেরাও পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে দুপক্ষের সমর্থকরা দু’দলে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশি পাহারায় মন্ত্রী তার সভাস্থল কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে পৌঁছান। কিন্তু এরই মধ্যে দুই দলের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলার করেন। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয় দুটি মোটরসাইকেলে। এ সময় সাংবাদিকসহ আহত হন অন্তত ১০ জন।

এদিকে উত্তেজিত হয়ে মন্ত্রী সভা থেকে চলে যাওয়ার পর আবারও দলে বিভক্ত হয়ে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এখনো পুরো কসবা পৌর এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।

কসবা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাহিদ হাসান বলেন, আপনারা এখন দেখতে পাচ্ছেন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে, বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহত কতজন হয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।’

শেয়ার করুন