আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে কার্যকর সম্পর্ক চায় কম্বোডিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুনসেন

শান্তি, উন্নতি ও স্থিতিশীলতায় অবদান রাখতে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সঙ্গে কার্যকর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান বলে জানিয়েছেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুনসেন।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার ভিডিও ভাষণে তিনি একথা বলেন।

বক্তব্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও বাংলাদেশের জনগণের সুসাস্থ্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব অনুসরণ করে গত দশকগুলোতে বাংলাদেশের অনেক অর্জন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ জন্য বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান।

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি, সামাজিক অগ্রগতি ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করতে পেরেছে। এই অর্জনের কারণে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বাড়াতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি। বলেন, ‘শান্তি, উন্নতি ও স্থিতিশীলতায় অবদান রাখতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দুই পক্ষই লাভবান হওয়ার মতো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। বিশেষ করে বর্তমানে চলমান কভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করতে চাই।’

আলজেরিয়ায় ১৯৭৩ সালে জোট নিরেপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলনের সময় কম্বোডিয়ার প্রয়াত রাজা নরোদম সিহানুক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল জানিয়ে হুনসেন বলেন, কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশ ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনীতিক সম্পর্ক চালু করে। এর মাধ্যমে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় যায়।

ইতোমধ্যে দুই দেশেই দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে কার্যকর সহযোগী হতে পেরেছে মন্তব্য করে হুনসেন বলেন, ২০১৪ সালের জুনে বাংলাদেশে আমার ঐতিহাসিক সফর এবং ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে কম্বোডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর দুই দেশের মধ্যে অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কারিগরি সহযোগিতা সংক্রান্ত বিভিন্ন সহযোগিতার দ্বার উন্মোচন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী হুনসেন বলেন, দুই দেশের মধ্যে গভীর ভালোবাসা ও পারস্পরিক সম্মানের স্মারক হিসাবে দুই জাতির পিতার নামে নমপেন ও ঢাকায় পৃথক সড়কের নামকরণের বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

শেয়ার করুন