হেফাজতে ইসলামের কর্মী সমর্থক ও কওমী মাদরাসাছাত্রদের বিক্ষোভে রেলস্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে স্টেশন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কোনো কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছেন না। ফলে শনিবার (২৭ মার্চ) থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার শোয়েব আহমেদ।
তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেলে কয়েকশত মাদরাসাছাত্র অতর্কিত হামলা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে। এ সময় তারা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। বিক্ষুব্ধরা স্টেশনের টিকিট কাউন্টার, কন্ট্রোল প্যানেল ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে রেললাইনের ওপর এনে অগ্নিসংযোগ করে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রেললাইনও অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো কার্যক্রম চালাতে পারছেন না। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবার বিকেল থেকে কোনো প্রকার ট্রেন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে না। যতদিন কার্যক্রম পুরোপুরি ঠিক না হচ্ছে ততদিন এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার বলেন, যেসব যাত্রী অগ্রিম টিকিট কেটে রেখেছেন তারা আখাউড়া, আজমপুর, তালশহর, আশুগঞ্জ থেকে যাত্রা করতে পারবেন। যারা ট্রেনে যাত্রায় আগ্রহী নন তারা কাউন্টারে টিকিটি জমা দিতে পারবেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশমতে পরবর্তীতে তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দেয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদরাসাছাত্রদের বিক্ষোভে রেলস্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেল থেকে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দিবাগত রাতে ‘মহানগর গোধূলি’ ট্রেন আখাউড়া স্টেশন ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।
পথিমধ্যে দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে এসে যাত্রা বিরতি করে। যাত্রাবিরতি শেষে ঢাকার উদ্দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। এরপর নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস রাত পৌনে ১টা ও ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়।