মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত একজনের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানেও গুলি চালানোর খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (২৮ মার্চ) থায়ে মং মং নামের ওই তরুণ বিক্ষোভকারীর শেষকৃত্য চলার সময় ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে।
রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিন প্রত্যক্ষদর্শী জানান এদিন ইয়াঙ্গুনের কাছে বাগো শহরে মং মংয়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠান চলছিলো। সেখানে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গত ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে শুরু হওয়া সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে মিয়ানমারে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চারশ মানুষ নিহত হয়েছে।
মিয়ানমারে শনিবার ছিল সশস্ত্র বাহিনী দিবস। এদিন রাজধানী নেপিদোতে সেনা কুচকাওয়াজের পরপরই সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে চরম দমনপীড়ন চালানো হয়। অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি) নামের একটি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ৯১ জনের নিহত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করেছে।
তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নিহতের সংখ্যা ১১৪। মিয়ানমার নাও-এর খবরে বলা হয়েছে, শুধু মান্দালয় শহরে শিশুসহ অন্তত ৪০ জন ও ইয়াঙ্গুনে ২৭ জন নিহত হন।
সংখ্যালঘু কারেন সম্প্রদায়ের একটি গ্রামে মিয়ানমারের সামরিক বিমানের হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।
মিয়ানমারে গত নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সু চির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বিপুল জয় পায়। কিন্তু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলে সেনাবাহিনী। তারা পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে সামরিক অভ্যুত্থান করে।
এদিন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী সু চির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে। সেনাবাহিনী সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করে। জান্তা শাসকদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দিন দিন জোরালো হচ্ছে। সঙ্গে দমনপীড়নও জোরদার করছে নিরাপত্তা বাহিনী।