চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হবে বলে মনে করছে আর্ন্তজাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। পরের অর্থবছরে ( ২০২১-২২) তা বেড়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে।
আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত আইএমএফের ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে পূর্বাভাস রয়েছে।
আইএমএফের এ পুর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের চেয়ে বেশি। বিশ্বব্যাংক মনে করে, বাংলাদেশে এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। অবশ্য বিশ্বব্যাংক বলেছে, করোনা প্রতিরোধে চলমান টিকাদান কর্মসূচির অগ্রগতির ওপর প্রবৃদ্ধি নির্ভর করছে। অবস্থার উন্নতি হলে তা ৫ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। আবার অবনতি হলে ২ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে যেতে পারে। অন্যদিকে জাতিসংঘের এসকাপ তাদের সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।
আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে এর সদস্য ১৮৮ টি দেশের অর্থনীতি কেমন যাবে তা নিয়ে প্রক্ষেপন রয়েছে। আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভাকে সামনে রেখে আইএমএফ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। এবারের প্রতিবেদনের বিষয় অর্থনীতির পুনরুদ্ধার।
আইএমএফ বিশ্ব অর্থনীতিতে ২০২১ সালে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আশা করছে। সংস্থাটির গত বছরের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক আউটলুকের পূর্বাভাসের চেয়ে যা শুন্য দশমিক ৮ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি। অর্থনীতিকে আগের জায়গায় নিতে কয়েকটি বড় অর্থনীতির দেশে বাড়তি আর্থিক সহায়তা এবং টিকাদানের কারণে বছরের দ্বিতীয়ার্ধে অর্থনীতির প্রত্যাশিত উন্নতির ধারণা থেকে তারা প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়েছেন