মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুস সালামের বাসভবনে ‘রহস্যজনক’ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে পৌরসভার ২ প্যানেল মেয়র ও ২ কাউন্সিলর ও মেয়রের স্ত্রীসহ ১৩ জন দগ্ধ হয়েছেন।
দগ্ধদের মধ্যে গুরুতর আহত ১২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) আনা হয়েছে ইতোমধ্যে। বাকি একজনকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাত নয়টার দিকে পৌরসভার রামগোপালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মিরকাদিম পৌরসভার প্যানেল মেয়র রহিম বাদশা (৫৫), আওলাদ (৪০), কাউন্সিলর দ্বীন ইসলাম, মো. সোহেল, মেয়র আব্দুস সালামের স্ত্রী কাননসহ (৪০) তাইজুল (২০), মো. মোশারফ (৬২), মনির হোসেন (৫০), শ্যামল দাশ (৪৫), পান্না (৫০), কালু (৪০), কানন (৪০) ও মহিউদ্দিন।
তাদের মধ্যে রহিম বাদশা মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও বাকিদের গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে মেয়রের বাস ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে মেয়রের সঙ্গে আলাপ করছিলাম পৌর কাউন্সিলরসহ অন্যান্যরা। হঠাৎ করেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তে কক্ষের ভেতর আগুনের শিখা দেখা যায়।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মিরকাদিম পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর রহিম বাদশা সাংবাদিকদের বলেন, পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে চার পৌর কাউন্সিলর নিয়ে নিজ বাস ভবনের তৃতীয়তলার একটি কক্ষে আলোচনা করছিলেন মেয়র । হঠাৎ করেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তে কক্ষের ভেতর আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণে কক্ষের আসবাবপত্র, জানালার কাচ চুরমার হয়ে গেছে। বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে চার কাউন্সিলরসহ অন্তত ১৩ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বিস্ফোরণে পৌর মেয়র অক্ষত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ কর্মী মনিরুজ্জামান রিপন জানান, একটি কাজে মেয়রের বাসায় ঢুকছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত নির্বাচনে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী কামরুল ইসলাম জাহাঙ্গির বলেন, বিকট শব্দে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে মেয়রের বাসভবনে এসেছেন। এসে দেখেন, ঘটনাস্থলে ভয়াবহ অবস্থা।
মেয়র হাজী আব্দুস সালামের সমর্থকদের দাবি, নাশকতার জন্য মেয়রের বাড়িতে একটি পক্ষ এ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তবে অন্য একটি পক্ষ দাবি করছে, মেয়রের বাসভবনে নির্বাচনের সময় সংরক্ষিত বিস্ফোরক থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
এ ঘটনায় সদর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন, কিভাবে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে এখনও বলা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তারা বলতে পারবে কিভাবে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবু ইউসুফ জানান, কেন বিস্ফোরণ তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানাবে বলেও তিনি জানান।