ভাসানী-তাজউদ্দীন-জিয়া কারো নাম আজ উচ্চারিত হয় না: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের তৈরি করা ইতিহাস প্রতিষ্ঠার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, ইতিহাসের সত্য না বলা অপরাধ। যারা দীর্ঘকাল ধরে স্বাধিকার-স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছেন তাদের কারো নাম উচ্চারণ হয় না। এমনকি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদ, জিয়াউর রহমানের নামও উচ্চারিত হয় না।

আজ শনিবার বিকালে জেএসডি আয়োজিত ‘স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী: ঐতিহাসিক প্রবাসী সরকারের ভূমিকা’ ও প্রস্তাবিত ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ শীর্ষক আলোচনায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধ কোনো একক ব্যক্তি বা দলের নয়। মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল সমগ্র জাতির আত্মবিকাশের আকাঙ্ক্ষাকে কেন্দ্র করে। কিন্তু স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ সংবিধানকে ছিন্নভিন্ন করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে তিরোহিত করে। এসময় সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জেএসডি প্রধান আ স ম আবদুর রব বলেন, ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তর ও গণহত্যা শুরুর মধ্য দিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের কবর রচিত হয়। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে সম্পন্ন হয়। স্বাধীনতা অর্জনের সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে সুযোগ্য নেতৃত্ব না থাকলে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন চরম ঝুঁকিতে পড়তো। এসব গভীর সত্য উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে জাতির ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না। স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ কিংবা কোনো আদর্শিক সংগ্রাম কারো একক কৃতিত্বে সম্পন্ন হতে পারে না।

স্বাধীনতা ও জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে যাদের অসামান্য অবদান রয়েছে তাদেরকে সরকার সামান্য মর্যাদা দিতেও কুণ্ঠাবোধ করে বলে দাবি করেন তিনি।

আলোচনা সভায় আ স ম রব নিম্নোক্ত পাঁচ দফা উত্থাপন করেন:

(১) মুক্তিযুদ্ধের উজ্জ্বল কীর্তির স্মারক হিসেবে ১০ এপ্রিল বা ১৭ এপ্রিলকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ (Republic Day) ঘোষণা করতে হবে;

(২) ঢাকায় প্রজাতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে ‘প্রজাতন্ত্র স্তম্ভ’ স্থাপন করতে হবে;

(৩) সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার- এ দর্শনের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনায় ‘অংশীদারিত্ব ভিত্তিক ‘শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে;

(৪) সকল রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এবং পাঠ্যপুস্তকে প্রবাসী সরকার, মুজিব বাহিনীসহ অন্যান্যদের ভূমিকা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে

(৫) মুক্তিযুদ্ধে যার যা অবদান তার স্বীকৃতি দিতে হবে।

শেয়ার করুন