বরেণ্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হক আর নেই। রোববার ভোর সোয়া ৬টায় রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)।
মিতা হকের ননদাই শিল্পী সোহরাব উদ্দিন জানান, গত ৩১ মার্চ মিতা হক করোনা আক্রান্ত হন। এরপর তিনি নেগেটিভ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে যান। তিনি কিডনি রোগে ভুগছিলেন তাই তার ডায়লাইসিস করতে হতো।
শনিবার ডায়লাইসিসের সময় তার প্রেসার ফল করে। এর পর বাসায় নেওয়ার পরও আবার তার প্রেসার ফল করে। সে সময় হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা জানান, মিতা হক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
এরপর রোববার ভোর সোয়া ৬টায় রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জে মিতা হকদের আদি বাড়িতে তার দাফন হবে। তবে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানের বিষয়ে পরে জানানো হবে।
মিতা হকের জন্ম ১৯৬২ সালে। তিনি বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী। সঙ্গীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে।
মিতা হক প্রথমে তার চাচা ওয়াহিদুল হক এবং পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সনজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন। ১৯৭৪ সালে তিনি বার্লিন আন্তর্জাতিক যুব ফেস্টিভালে অংশ নেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তবলা বাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে সঙ্গীত শেখা শুরু করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে নিয়মিত তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সঙ্গীত পরিবেশনা করেছেন।
মিতা হক অভিনেতা-পরিচালক খালেদ খানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। খালেদ খান ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এই দম্পতির ফারহিন খান জয়িতা নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
এছাড়া তিনি ছায়ানটের রবীন্দ্রসঙ্গীত বিভাগের প্রধান ছিলেন।
মিতা হক সুরতীর্থ নামে একটি সঙ্গীত প্রশিক্ষণ দল গঠন করেন যেখানে তিনি পরিচালক ও প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন।