করোনার টিকার জন্য তিনটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ভারতের টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় বিকল্প হিসেবে রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। এরমধ্যে চীন পাঁচ লাখ টিকা দেয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় মহাখালীর বিসিপিএস প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, সারা বিশ্বেই টিকার সঙ্কট চলছে। বিশ্বের ১০টি ধনী রাষ্ট্র ৭০ ভাগ ভ্যাকসিন কিনে নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫০-৬০টি দেশ ভ্যাকসিনই পায়নি।
ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, হাসপাতালগুলোর আইসিইউতে থাকা প্রতিটি করোনা রোগীর জন্য সরকারের ব্যয় হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। আর একজন সাধারণ রোগীর জন্য ব্যয় হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা।
চলমান লকডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লকডাউনই একমাত্র উপায় নয়। লকডাউন দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ট্রান্সমিশন (সংক্রমণ) কমিয়েছে। তবে লকডাউনের নেতিবাচক দিকও আছে। এতে দারিদ্র্য ও সামাজিক অস্থিরতা বেড়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশের করোনা টিকা সরবরাহের চুক্তি হয়। ইতোমধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৭০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে এসেছে। চুক্তি অনুযায়ী গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে মোট তিন কোটি টিকা বাংলাদেশকে দেয়ার কথা সিরামের।
কিন্তু ভারতে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির ফলে টিকা প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আরও তিনটি দেশের সঙ্গে টিকা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।