রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কর্মস্থলে নিরাপদ পরিবেশ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শ্রমিক, মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষে এক বাণিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সর্ম্পকে দেশব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২১’ পালনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, নিরাপদ কর্মপরিবেশ হোক সবার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং যথাযথ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর তৎকালীন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সকল কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। জাতির পিতার সময়োচিত ও যথাযথ সিদ্ধান্তের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল কলকারখানাগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত সুরক্ষা ও আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শকে অনুসরণ করেই সরকার দেশের সকল খাতের শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য নানাবিধ কল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। এই অর্জনে এদেশের শ্রমজীবী মানুষের অবদান অপরিসীম।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’ এমন একটি মুহূর্তে পালিত হচ্ছে, যখন করোনাভাইরাস সংক্রমণে সৃষ্ট মহামারির ফলে সারাবিশ্বে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শ্রমিক-কর্মচরিসহ সকল নাগরিকের সার্বিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য আজ বিশ্বব্যাপী বিস্তার লাভ করেছে। দেশে শিল্প-কারখানা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তৈরি হয়েছে অসংখ্য নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র। রফতানি বাণিজ্যের বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি আরও বিস্তৃত করতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে কল্যাণমূলক ব্যবস্থাসমূহ নিশ্চিত করাসহ উৎপাদনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম আইন এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালার যথাযথ প্রয়োগ ও সকল অংশীজনের সম্মিলিত উদ্যোগের বাস্তবায়ন আবশ্যক। কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা প্রতিটি শ্রমিকের আইনগত অধিকার। বিষয়টিকে কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের মাঝে সীমাবদ্ধ না রেখে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।