বিদেশিদের হজের অনুমতি বিষয়ে আলোচনা চলছে : সৌদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অচেনা দৃশ্যে পবিত্র হজ
ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর থেকে বিদেশিদের জন্য হজপালন বন্ধ রেখেছে সৌদি আরব। কিন্তু এ বছর সেই বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হবে কি না সে বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। সোমবার আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রোববার সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের আলোচনায় অল্প কিছু বিদেশি হজযাত্রীকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার প্রসঙ্গও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অতিথিদের হজ ও ওমরাহ পালনে সৌদি আরবের সুদৃঢ় আগ্রহের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে সৌদি আরব মানুষের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয় বলে জানিয়েছে তারা।

চলতি বছর ১৭ জুলাই থেকে পবিত্র হজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরব নিউজ জানিয়েছে, বিশ্বের করোনা পরিস্থিতিতে নজর রেখেছে সৌদির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। পর্যাপ্ত সুরক্ষাবিধি ও মানদণ্ড অনুসরণ করে এ বিষয়ে বিস্তারিত শর্তাদি নির্ধারণ করবে তারা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রায় ৫০ লাখ নিরীক্ষণ চালিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। দেশটির হজ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবারের মৌসুমে তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সব কর্মীকে অবশ্যই টিকা নিতে হবে।

গত বছর করোনা সংক্রমণের কারণে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাত্র এক হাজারের মতো স্থানীয় বাসিন্দাকে হজের অনুমতি দিয়েছিল সৌদি কর্তৃপক্ষ। এটি থেকে পাওয়া শিক্ষার ভিত্তিতে কিছুদিন পরেই বিদেশিদের জন্য ওমরাহ পালনের দরজা খুলে দেয় তারা।

করোনাভাইরাস মহামারির আগে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অন্তত ২৫ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলিম হজ করতে মক্কা-মদিনায় যেতেন। হজ ও ওমরাহ থেকে বার্ষিক প্রায় ১ হাজার ২ কোটি ডলার আয় হতো সৌদি সরকারের। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছর শুধু কয়েক হাজার স্থানীয়কে হজের অনুমতি দেয় দেশটি।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অর্থনৈতিক সংস্কার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০২০ সালের মধ্যে ওমরাহ ও হজযাত্রীর সংখ্যা যথাক্রমে দেড় কোটি ও ৫০ লাখ বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছিল দেশটি। ২০৩০ সালের মধ্যে ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা দ্বিগুণ বাড়িয়ে তিন কোটিতে নেয়ার লক্ষ্য তাদের। ২০৩০ সালের মধ্যে শুধু হজ থেকেই ৫০ বিলিয়ন রিয়াল আয় করতে চায় সৌদি আরব।

শেয়ার করুন