দেশে করোনায় সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়াল

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের দাফন
ফাইল ছবি

দেশে করোনা সংক্রমণের ৪৩০তম দিনে আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে।

মার্চের শেষ দিক থেকে করোনা সংক্রমণের বাড়তে থাকলেও কয়েকদিন থেকে ক্রমাগত মৃত্যুর সংখ্যা কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কমেছে আক্রান্তের সংখ্যাও।

আজ মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ১৮৪টি নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৭৬ হাজার ২৫৭ জন।

২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ।

এই ৪৩০ দিনে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ হাজার ৫ জন। মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৫ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টা সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৪৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ১৫ হাজার ৩২১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২১ জন ও নারী ১২ জন।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মার্চ মাস থেকে তা শুধুই বাড়ছে। গত ১৬ এপ্রিল মৃত্যু একশো ছাড়ায়। সেদিন ও তার পরদিন ১৭ এপ্রিল ১০১ করে মৃত্যু হয় করোনায়। ১৮ এপ্রিল ১০২ জন ও ১৯ এপ্রিল ১১২ জন মারা যান, যা একদিনে সর্বোচ্চ।

বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছিল সরকার। এরপর সেটি বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন