গত একদিনে দেশে করোনাভাইরাস পরীক্ষার পরিমাণ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। এতে প্রায় নয় সপ্তাহ পর শনাক্ত হাজারের নিচে নামল। গত একদিনে ৭ হাজার ৮৩৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৮৪৮ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। উল্লিখিত সময়ে মারা গেছেন ২৬ জন। সাত সপ্তাহ পর দৈনিক মৃত্যু ত্রিশের নিচে নামল।
আজ শুক্রবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী নতুন ২৬ জনসহ দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ১০২ জনে। আর মোট শনাক্তের পরিমাণ সাত লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৮৫২ জন। দেশে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা সাত লাখ ২০ হাজার ৪৭১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সাত হাজার ৫৬৭টি, অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে সাত হাজার ৮৩৫টি। এখন পর্যন্ত ৫৬ লাখ ৯৮ হাজার ৫২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, শনাক্ত বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ নমুনায় ১০ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি ১০০ জনে সুস্থ হয়েছেন ৯২ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং মারা গেছেন ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ এবং নারী সাতজন। এ পর্যন্ত পুরুষ আট হাজার ৭৬২ জন এবং নারী মৃত্যুবরণ করেছেন তিন হাজার ৩৪০ জন।
মারা যাওয়া ২৬ জনের মধ্যে ৬০ ঊর্ধ্ব ১৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের একজন।
বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন নয়জন, চট্টগ্রামে সাতজন, রাজশাহীতে দুজন, খুলনায় তিনজন, সিলেটে দুজন এবং রংপুরে তিনজন। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২১ জন, আর বেসরকারি হাসপাতালে পাঁচজন।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস ধরে টানা মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর বছর শেষে কয়েক মাস ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। চলতি বছরের শুরুতে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত অনেকটা কমে আসে।
তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। বিশেষজ্ঞরা এটাকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বলছেন। তারা ধারণা করছেন, ঈদুল ফিতরের পর করোনার আরও একটা ধাক্কা আসতে পারে। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি জোর দিয়েছেন।