রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার ভূমিদস্যু মাহাবুব জাকির ওরফে জাকি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা, অবৈধভাবে বাড়ি দখলের পাঁয়তারা, হত্যার হুমকিসহ নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে সোমবার (৩১ মে) এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মো. আব্দুল মান্নান সরকারের পক্ষে মো. হাসান এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল সাব-কবলা দলিলমূলে (দলিল নং- ২৭৬০) মোহাম্মদপুর এলাকার রামচন্দ্রপুরের ৩২ নং প্লটের পৌনে চার কাঠা জায়গা ক্রয় করে উক্ত সম্পত্তির খাজনা প্রদানসহ জমির সকল কাগজপত্র হালনাগাদ করে সেখানে একটি টিনসেড বাড়ি নির্মাণ করে কেয়ারটেকার ও ভাড়াটিয়া নিযুক্ত করে ভোগ দখলে আছি।
ভূমিদস্যু মাহাবুব জাকির ওরফে জাকি’র নেতৃত্বে গত ৬ এপ্রিল দিবাগত রাতে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার প্লটে আসে। এরপর প্লটটি জোরপূর্বক অবৈধভাবে দখল করার জন্য কেয়ারটেকারসহ ভাড়াটিয়াদের প্লট খালি করে দেয়ার জন্য শাসিয়ে যায়। অন্যথায় খুন জখমের মাধ্যমে প্লটটি দখল করা হবে বলে হুমকি দেয়। এর প্রেক্ষিতে গত ১০ এপ্রিল মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। যার নং-৭২৯।
এরপর আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করা হলে আদালত উক্ত সম্পত্তিতে ১৪৫ ধরা জারি করার পরও গত ২১ মে গভীর রাতে আবারও ওই ভূমিদস্যুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী মো. বিল্লাল হোসেনসহ ৩০ থেকে ৩৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত বাড়ি দখলের জন্য হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এসময় ওই সন্ত্রাসীরা ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে টিভি, ফ্রিজ, স্বর্ণালংকারসহ নানা আসবাবপত্র লুট করে সাথে নিয়ে আসা দুটি পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। সে সময় কেয়ারটেকার ও ভাড়াটিয়াদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা মালামালসহ পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে প্রতিপক্ষ ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারসহ কেয়ারটেকার ও ভাড়াটিয়ারা নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি মানবেতর জীবন-যাপন করছি।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ-প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদঘাটন, সংবাদ প্রকাশ ও দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি সহযোগিতা চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, এ বিষয়ে ইতোপূর্বেও গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। অভিযোগকারী মো. আব্দুল মান্নান সরকারের ছেলে একজন রেমিট্যান্সযোদ্ধা এবং ভাই মহিউদ্দিন সরকার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।