বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আড়াই হাজার শিক্ষককে নিয়োগের সুপারিশ করতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এনটিআরসিএর আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
গত ৩১ মে হাইকোর্ট আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে এদেরকে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ বাস্তবায়ন করে কোর্টকে জানাতে বলেছিলেন। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শুনানিতে চাকরি প্রত্যাশীদের পক্ষে অংশ নেন খুরশিদ আলম খান, মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ। এর মধ্যে সিদ্দিক উল্লাহ এক হাজার জন ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ আটশ জনের পক্ষে মামলা করেছেন। তারা জানিয়েছেন, এ সংখ্যাসহ মামলাকারীর সংখ্যা হবে প্রায় আড়াই হাজার।
আদালত থেকে বেরিয়ে নিবন্ধনধারী চাকরি প্রত্যাশীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ বলেন, চার সপ্তাহের মধ্যে আদালত অবমাননার আবেদনকারীদের নিয়োগের সুপারিশ করতে এনটিআরসিএর প্রতি বলা হয়েছে।
এর আগে গত ৬ মে হাইকোর্টের একই ভার্চুয়াল বেঞ্চ এনটিআরসিএ কর্তৃক ১ থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় দেড় হাজার চাকরি প্রত্যাশীকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করার জন্য ৭ দিন সময় দিয়েছিল হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগ দিয়ে জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।
২০২১ সালের ৭ মার্চ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে ১ থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। আদালতের ওই আদেশ বাস্তবায়ন না করায় পুনরায় এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। সে আবেদনের শুনানি করে আজ আদালত এ আদেশ দিলেন।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর এনটিআরসিএ কর্তৃক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট।