দাপুটে নৈপুণ্যে তুরস্ককে উড়িয়ে দিয়েও অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে সুইজারল্যান্ডকে। গ্রুপের শীর্ষ দুইয়ে থেকে পরের রাউন্ডে গেলে কেবল জিতলেই হতো না সুইসদের, নির্ভর করতে হতো অন্য ম্যাচের ওপর।
নিজেদের কাজটা তারা সেরেছে। কিন্তু দ্বিতীয় চাওয়া পূরণ হলো না তাদের। বাকু অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রোববার (২০ জুন) ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছে সুইসরা।
একই সময়ে গ্রুপের অন্য ম্যাচে ইতালির কাছে ১-০ গোলে হেরেও দ্বিতীয় হয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে ওয়েলস। সুইজারল্যান্ডের আশা এখন ছয় গ্রুপের তৃতীয় হওয়া সেরা চার দলের একটি হয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়ার।
তিন ম্যাচে শতভাগ জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের সেরা ইতালি। ওয়েলস ও সুইজারল্যান্ডের পয়েন্ট সমান ৪ করে, গোল পার্থক্যে এগিয়ে ওয়েলস। আসর থেকে বিদায় নেওয়া তুরস্কের পয়েন্ট নেই।
সুইজারল্যান্ডের দারুণ জয়ে জোড়া গোল করেন জেরদান সাচিরি, অন্যটি হারিস সেফেরোভিচ। তুরস্কের ব্যবধান কমান ইরফান কাভেচি।
ম্যাচে গোলের উদ্দেশে সুইসদের ২৩ শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ১০টি। বিপরীতে তুরস্কের ১৯ শটের ৬টি লক্ষ্যে ছিল। দুই গোলরক্ষকই দারুণ কিছু সেভ করেন।
ওয়েলসের চেয়ে এগিয়ে যেতে তখনও সুইজারল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২ গোল। শেষ পর্যন্ত আর জালের দেখা মেলেনি। ৭৬তম মিনিটে গ্রানিত জাকার ফ্রি কিক পোস্টে লাগে।
তুরস্কের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ের পর পেতকোভিচ বলেছেন, আমরা কিছু গোল করেছি। তবে দুর্ভাগ্যবশত আমরা আরও কিছু সুযোগ পেয়েছিলাম, যেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি।
তিনি বলেন, নিখুঁত ম্যাচ খেলতে পারিনি আমরা, তবে ভালো খেলেছি। আমার কাছে মনে হয়, যা করেছি সেটাই নকআউট পর্বে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট।
অপরদিকে তুরস্কের হার নিয়ে চলছে নানা ধরনের বিশ্লেষণ। তিনটি ম্যাচেই তারা হেরেছেন। যে কারণে তাদের পয়েন্টও শূন্য। দলটির সাবেক ফুটবলার কাহভেচির বলেন, নিশ্চিত করেই আমরা দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার জন্য ফেবারিট ছিলাম। কিন্তু টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বাজে দল হিসেবে আমরা বিদায় নিলাম।