কয়েক দিন আগেই বিধ্বস্ত চেহারার লিওনেল মেসিকে দেখা গিয়েছিল। আইসল্যান্ডের সঙ্গে পেনাল্টি মিস, সঙ্গে হতাশার ড্র। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে নিজেকে হারিয়ে ফেলা। চিরচেনা মেসিকে দেখতে পাওয়া যায়নি বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার প্রথম দুই ম্যাচে। কিন্তু মনে বিশ্বাস ছিল তার- শেষ ষোলোতে উঠবে আর্জেন্টিনা।
রোমাঞ্চকর ম্যাচ জয়ের পর মেসি বলেছেনম ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে এই ম্যাচ জিততে পারব। এভাবে জিততে পারা দারুণ। এই আনন্দ-উচ্ছ্বাসের দাবিদার আমরা।’ রাশিয়া বিশ্বকাপের শততম গোলদাতা আরও যোগ করেছেন, ‘আমি জানতাম ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে আছেন। তিনি আমাদের ছেড়ে যাবেন না। এখানে আসা সব ভক্ত-সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাই তাদের বিসর্জনের জন্য, যারা আর্জেন্টিনায় বসেও আমাদের সঙ্গে ছিলেন তাদের কাছেও কৃতজ্ঞ। জাতীয় দলের এই জার্সি সবার উপরে।’
একই বিশ্বাসে ম্যাচের আগে ম্যারাডোনা একটি দৈনিকে লিখেছিলের, ’বিশ্বাসী মানুষ বলে আমি লা আলবিসেলেস্তেদের ওপর থেকে আস্থা হারাচ্ছি না। আমার ১৯৮২ ও ১৯৯০ বিশ্বকাপের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। দুবারই চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলতে এসে হার দিয়ে আমাদের বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল। প্রথমবার গ্রুপ পর্বের বাকি দুই ম্যাচ জিতেছিলাম। কিন্তু সেবার দ্বিতীয় পর্ব থেকেই ফিরতে হয়েছিল। আর দ্বিতীয়বার আমি অধিনায়ক থাকার সময় তো আমরা ফাইনালে পৌঁছেছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমরা কোথায় শেষ করেছিলাম সেই আলোচনায় যাচ্ছি না। আমি বলতে চাচ্ছি দুবারই আমরা বাজে অবস্থায় পড়েছিলাম। কিন্তু আমরা লড়াই করে গ্রুপ পর্ব পেরিয়েছি। এটাই আমাকে বিশ্বাস জোগাচ্ছে যে এবারও সম্ভব।’