কয়েক দিন ধরে টানা ভারী বর্ষণে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে লামা ও আলীকদম উপজেলার সড়ক যোগাযোগ। এছাড়া থানচি উপজেলা সদরের সঙ্গে তিন্দু ও রেমাক্রি ইউনিয়নের যোগাযোগও বন্ধ হয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ।
জানা যায়, ভারী বর্ষণে বান্দরবান সদরের আর্মিপাড়া, ইসলামপুর, বনানি সমিল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চার দিন ধরে চলা টানা বর্ষণের ফলে উপজেলায় অবস্থিত নদী, খাল ও ঝিরির পানি ফুঁসে উঠে পৌরসভা এলাকার নয়াপাড়া, বাসস্ট্যান্ড, টিএন্ডটি পাড়া, বাজারপাড়া, গজালিয়া জিপ স্টেশন, লামা বাজারের একাংশ, চেয়ারম্যান পাড়ার একাংশ, ছোট নুনারবিলপাড়া, বড় নুনারবিলপাড়া, উপজেলা পরিষদের আবাসিক কোয়ার্টারসমূহ, থানা এলাকা, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা বাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও থানচি উপজেলার বলিবাজার ইউনিয়নের হিন্দুপাড়া ও বাগান পাড়াসহ বিভিন্ন পাড়া প্লাবিত হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় প্লাবিত হয়েছে অনেক গ্রাম।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার দুই নদী সাঙ্গু ও মাতামুহুরীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পানিবন্দি মানুষকে। পাহাড়ে যারা ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন তাদের নিরাপদ স্থানে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। দুর্গতদের জন্য জেলায় ১৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রশাসন থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্গতদের দেয়া হচ্ছে খাদ্য সহায়তা।
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সায়েদ ইকবাল জানান, পানিতে সড়ক ডুবে যাওয়ায় লামা ও আলীকদম উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। পানি ঢুকেছে বসতবাড়ি ও দোকানেও। গতকাল রাতেই আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে সাধারণ মানুষ।