জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত ও ভুল বোঝাবুঝি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সাংবাদিকদের ব্যাংক হিসাব চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানান তিনি।
আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা বলেন তিনি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের শীর্ষ চার সংগঠনের ১১ নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
জাতীয় প্রেসক্লাব ছাড়াও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের উভয় অংশ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের উভয় অংশ এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা রয়েছেন এই তালিকায়।
চিঠিতে সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য (অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, কবে খোলা হয়েছে, জমা, উত্তোলনসহ লেনদেন বিবরণী, অ্যাকাউন্টের স্থিতি) আগামী চার কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে পাঠাতে বলা হয়। চিঠিতে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট নম্বর দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের নির্বাচিত নেতাদের ব্যাংক হিসাব চেয়ে দেওয়া ওই চিঠির পর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় সাংবাদিকরা। এর প্রতিবাদে সারা দেশে ২৩ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন সংগঠন।
সোমবার সাংবাদিক নেতারা এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঘটনাগুলো অপ্রত্যাশিতভাবে হয়েছে। আসলে আমারও জানা ছিল না। তথ্যমন্ত্রীও বোধ হয় বিষয়টি জানতেন না। আমি সঙ্গে-সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলাপ করেছি। তিনি আপনাদের মতোই একটি চিঠির কথা বলেছেন।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘সেই চিঠির উৎপত্তিটা কোথায়, সেটাও আমি দেখেছি। আমার মনে হয় একটি ভুল-বোঝাবুঝির মাধ্যমেই চিঠিটা পাঠানো হয়েছে। যেখানেই গিয়ে থাকুক চিঠিটা, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এভাবে চিঠি পাঠানো উচিত হয়নি।’