ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলকে একদিনের জন্য জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম হাসিবুল হক শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
ধানমন্ডি থানায় করা প্রতারণার মামলায় একদিনের রিমান্ড শেষে আজ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয় রাসেলকে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তখন ধানমন্ডি থানায় করা প্রতারণার আরেক মামলায় তাকে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে তিন দিনের মধ্যে একদিনের জন্য জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানায় করা প্রতারণার মামলায় রাসেলকে একদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিনের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
ওইদিন গুলশান থানার প্রতারণার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে দুজনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর ধানমন্ডি থানার প্রতারণার আরেক মামলায় তাদের সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রাসেলের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং শামীমার রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে তাদের হাজির করা হয়। এরপর গুলশান থানায় প্রতারণার অভিযোগে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াহিদুল ইসলাম। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিটন তাদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাদের র্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। সেখানেই চলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ।