বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা নয় ম্যাচ জেতার পর কলম্বিয়ার বিপক্ষে পয়েন্ট হারিয়েছে ব্রাজিল। ঘরের মাঠে ব্রাজিলকে গোলশূন্য রাখতে সক্ষম হয় কলম্বিয়া। অবশ্য ড্র করলেও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই আছে তিতের দল।
রোববার রাতে কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন নেইমার। এই তারকার আগমনেও জালের নাগাল পায়নি ব্রাজিল। যদিও পুরো ম্যাচে প্রভাব ছিল তিতের শিষ্যদের। এর আগের ম্যাচে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ১-৩ গোলে জিতেছিল ব্রাজিল।
বল দখলে অনেকটাই পিছিয়ে থাকা স্বাগতিকরা গোলের জন্য ১২টি শট নিয়ে চারটি রাখতে পারে লক্ষ্যে। আর ব্রাজিলের ৯ শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত কলম্বিয়া। কুইন্তেরোর অসাধারণ এক ক্রস হেডে জাল খুঁজে নেয়ার মুহূর্তে আলিসন বেকারের দৃঢ়তায় রক্ষা পায় ব্রাজিল। ১৪তম মিনিটে ডি বক্সে নেইমারের দেয়া পাস কাজে লাগাতে পারেনি লুকাস পাকুয়েতা।
২০তম মিনিটে আবারও কলম্বিয়ার আক্রমণ, ডি বক্স থেকে বল জালে ভেড়াতে পারেনি দিয়াস। দারুণ ট্যাকলে তা ভেস্তে দেন ব্রাজিল অধিনায়ক মার্কিনিয়োস। প্রথমার্ধে গোলের সন্ধানে দুই দলই কয়েকবার আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালায়। তবে গোলের দেখা পায়নি কেউই।
বিরতি থেকে ফিরে এসে ব্রাজিলকে চেপে ধরেছিল কলম্বিয়া। কয়েকটি দুর্দান্ত আক্রমণে গেলেও সেলেকাওদের রক্ষণ দেয়াল ভেদ করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ৬৭তম মিনিটে কুইন্তেরোর বুলেট গতির শট ঝাপিয়ে ঠেকান ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসন।
৭৬তম মিনিটে সুযোগ পায় ব্রাজিল। রাফিনিয়ার জোরালো শট ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক দাভিদ অসপিনা। ৮৬তম মিনিটে দারুণ সুযোগ পেলেও গোলের দেখা পায়নি সেলেকাওরা। রাফিনিয়ার পাস থেকে ডি বক্সে বল পায় অ্যান্তনি। তবে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় বুদ্ধীদিপ্তভাবে তা ঠেকিয়ে দেয় কলম্বিয়া ডিফেন্ডার ওস্পিনা।
শেষ মুহূর্তে আর কোনো গোল না হলে গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।
এ পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলে ৯ জয় ও এক ড্রয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল। এক ম্যাচ বেশি খেলা কলম্বিয়া ১৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে পাঁচ নম্বরে। আর ২২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আর্জেন্টিনা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে একুয়েডর। গোল ব্যবধানে পিছিয়ে চারে উরুগুয়ে।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ১০ দলের এই প্রতিযোগিতায় সেরা চার দল সরাসরি খেলবে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের মূল পর্বে। পাঁচ নম্বর দলটি খেলবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফ।