‘স্পন্দন’-এর এলবামে ফিরোজ সাঁইর কালজয়ী গান

মত ও পথ

প্রতিষ্ঠার ৪৬ বছর পর ‘স্পন্দন’ ব্যান্ড দলের গানের পূর্ণাঙ্গ এলবাম প্রকাশ পেয়েছে। নয়টি মূল গানের এই জি-সিরিজের এলবামটি গতকাল বাজারে এসেছে। এলবামে ‘স্পন্দন’- এর প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শিল্পী ফিরোজ সাঁই’-এর কালজয়ী গানগুলো নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা গেয়েছেন। গানে সংযোজিত হয়েছে নবরুপায়নে সংগীতায়োজন।

universel cardiac hospital

প্রকাশিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ এলবামে ব্যান্ড দলটির প্রতিষ্ঠাতা শিল্পীদের গাওয়া গান রয়েছে কয়েকটি। এলবামে মোট নয়টি গান স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ‘ স্কুল খুইলাছে রে মাওলা স্কুল খুইলাছে, মন তুই চিনলি না রে, মন মানুষ বিরাজ করে, বাবা ভান্ডারী লাইন ছাড়া চলে না রেলগাড়ি, গাউছুল আজম বাবা।’ প্রয়াত ফিরোজ সাঁই গাওয়া এই গানগুলোতে সংগীতায়োজনে নবরুপায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়াও এলবামে দলটির আরও চারটি মৌলিক গান রয়েছে। এগুলো হচ্ছে, শোনইয়া নাই, হিসাবী মহাজন, তুমি আমি, গাঁজায় গজল। এ ছাড়া ‘ জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানটি দলটির শিল্পীরা নবসংগীতায়োজনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্মের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।

‘স্পন্দন’ গানের দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ এলবাম সম্পর্কে আজ বাসসকে জানান, এটা অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন আমাদের বর্তমান স্পন্দনের শিল্পীরা। দলে নতুন শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন কিংবদন্তি শিল্পী প্রয়াত শিল্পী ফিরোজ সাঁইয়ের তিন ছেলে নাজিম ( ভোকাল ও পার্কাশন), নাঈম ( ড্রামস) ও নিয়াজ (গিটার)। আরও রয়েছেন স্পন্দনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কাজী হাবলুর ছেলে কাজী আনান ( ভোকাল ও গিটার)। এ ছাড়াও দলের এই প্রজন্মের শিল্পী শিশির। তিনি বলেন, আমরা যেটা পারিনি সেই কাজটা আমাদের সন্তানরা করে ফিরোজ সাঁই ও তার দলটিকে নতুন জীবন দিয়েছেন। স্পন্দনের এই পূর্ণাঙ্গ এলবাম বর্তমান প্রজন্মের শ্রোতাদের মুগ্ধ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

প্রয়াত শিল্পী ফিরোজ সাঁই’সহ কয়েকজন তরুন প্রতিভাধর শিল্পী ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘স্পন্দন ’ গানের দলটি। আত্মপ্রকাশের শুরুতেই ব্যান্ড দলটি তাদের বেশ কিছু গানের জন্য বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। দলটির গানগুলো শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়ে। প্রতিষ্ঠার সময় দলটির শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন, ফিরাজ সাঁই এবং দুই ভাই মনসুর আহমেদ নিপু ও নাসির আহমেদ অপু। পরে যোগ দেন ফেরদৌস ওয়াহিদ ও কাজী হাবলু। ১৯৭৫ সালে দলটির পরিবেশনা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ফিরোজ সাঁই’র তিন ছেলে ও কাজী হাবলুর এক ছেলে গানের দলটিকে নবরুপে পুনরায় চালু করেন।

ফিরোজ সাঁই’-এর ছেলে নাজিম বাসসকে জানান, ‘স্পন্দন’-এর কালজয়ী গানগুলো আমরা পূর্ণাঙ্গ এলবামে স্থান দিতে পারায় খুবই ভাল লাগছে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে ফিরোজ সাঁই নতুনভাবে তার গানের মাধ্যমেই উপস্থিত হলেন। পরবর্তীতে স্পন্দনের প্রতিষ্ঠাকালীন অন্যান্য শিল্পীদের গানগুলো এলবামে আনার চেষ্টা করা হবে

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে