ওয়েস্ট ইন্ডিজের অ্যান্টিগায় টেস্টের প্রথম সকালে বাংলাদেশের শুরুটা এরচেয়ে আর বাজে হতে পারত না! খেলা শুরুর আগে বৃষ্টি হয়েছিল। একটু আর্দ্র উইকেট, ঘাস আছে, ফাস্ট বোলারদের সহায়তা করবে এই বিষয়টি উভয় পক্ষের জানা কথা। কিন্তু তাই বলে বাংলাদেশ যা করলো তা কল্পনার চেয়েও বেশি জঘন্য কিছু!
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ার যে কারণ ব্যাখ্যা করেছেন তার মূলকথা ঐ একটাই- আর্দ্র উইকেট, ঘাস আর ফাস্ট বোলারদের সহায়তা। কিন্তু এই থিওরি যে এমন ধ্বস নামাবে জেসন হোল্ডারেরও নিশ্চয় বিশ্বাস করতে সময় লেগেছে!
কিন্তু দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ দলতো জানতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশন। নিশ্চয় কোচিং স্টাফরা বিষয়টি মাথায় রেখেই পরিকল্পনা সাজিয়েছিল। কিন্তু কিসের কি? সব পরিকল্পনাকে মিথ্যে প্রমাণ করার জন্য যেন সকালে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। ১১২ বলে, ৯৯ মিনিটে মাত্র ৪৩ রানে প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায়। যা নিজেদের টেস্ট ক্রিকেটে সর্বনিম্ন স্কোরকেও অনেক বেশি ব্যবধানে পেছনে ফেলে। উল্লেখ্য এর আগে ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোর পি সারা ওভালে ৬২ রান ছিল সর্বনিম্ন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটি সব দল মিলিয়েই সর্বনিম্ন।
ধ্বংসজ্ঞের শুরু করেছিলেন কেমার রোচ। ৫ ওভারের এক স্পেলে ৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। চার পেসার মধ্যে দুর্বলতম ছিলেন যিনি, সেই মিগেল কামিন্স নিয়েছেন তিনটি। অথচ টেস্টের আগে যে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে নিয়ে শঙ্কা ছিল সেই শ্যানন গ্যাব্রিয়েল উইকেটই পেলেন না। বাংলাদেশকে ধসিয়ে দিলেন অন্যরা।
যে উইকেটে টসে হেরে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা আসা যাওয়ার মিছিল করেছে সে উইকেটেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের আউট করতে দিনভর সংগ্রাম করলেন বাংলাদেশের বোলাররা।৬৮ ওভার বল করে ফেরানো গিয়েছে দুই ব্যাটসম্যান—ডেভন স্মিথ ও কাইরন পাওয়েলকে। প্রথম দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অর্থাৎ দিন শেষে ১৫৮ রানের লিড নিয়েছে স্বাগতিকেরা।
বাংলাদেশের পক্ষে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অভিষিক্ত পেসার আবু জায়েদ ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ১৮.৪ ওভারে ৪৩ (তামিম ৪, লিটন ২৫, মুমিনুল ১, মুশফিক ০, মাহমুদউল্লাহ ০, সোহান ৪, মিরাজ ১, রাব্বি ০, রুবেল ৬*, আবু জায়েদ ২; রোচ ৫/৮, গ্যাব্রিয়েল ০/১৪, হোল্ডার ২/১০, কামিন্স ৩/১১)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৬৮ ওভারে ২০১/২ (ব্র্যাথওয়েট ৮৮*, স্মিথ ৫৮, পাওয়েল ৪৮, বিশু ১*; আবু জায়েদ ১/৫৫, মাহমুদউল্লাহ ১/৬)।