ঘরে-বাইরে শুল্ক নীতি নিয়ে মহাফাঁপড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ‘একগুঁয়ে’ নীতির জেরে অখুশি ভারত-সহ কানাডা, চিন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলি। আর এই অখুশির মাত্রা যে কতটা ছাপ ফেলেছে তা বোঝা গেল ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সাংবাদিক বৈঠকের মাঝখানেই।
সোমবার, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট হঠাত্ ট্রাম্পের বক্তব্যের মাঝে ‘অপ্রত্যাশিত বাধা’ দিয়ে বসেন। ট্রাম্প বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা সমাধান করতে পারলে ভাল, না পারলেও ভাল…।” ঠিক এই মুহূর্তেই রুট বাধা দিয়ে বলেন, “না।” কার্যত ঢোক গেলে ট্রাম্প জানান, ”ঠিক আছে। অন্তত গাড়ি আমদানি নিয়ে ভাবা উচিত।” রুট স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “এটি কোনও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নয়। আমাদের সমস্যা সমাধান করতেই হবে।” ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ৫ মিনিটের সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য নীতি নিয়ে আলোচনা ‘ভাল’ না হলেও ‘সুন্দর’ হয়েছে। করদাতা, শ্রমিক, চাষিদের জন্য এই নীতি ভীষণ ইতিবাচক। ভবিষ্যতে আরও ভাল কিছু হতে পারে যদি ইইউ-ও এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়।
উল্লেখ্য, বাণিজ্য যুদ্ধে মার্কিন পণ্যের উপর ভারত-সহ একাধিক দেশ অতিরিক্ত শুল্ক বসানোয় যারপরনাই বিরক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই তিনিও পালটা শুল্ক চাপিয়ে বাণিজ্য যুদ্ধে আরও ‘ঘি’ ঢালতে উদ্যত হয়েছেন।
তবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখের উপর ডাচ প্রধানমন্ত্রীর এ হেন প্রতিবাদ ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে কূটনৈতিক মহলে। টানা ৮ বছর ক্ষমতায় থাকা ৫১ বছর বয়সী রুটের ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর যদি এই সম্ভাবনা সত্যি হয়, তাহলে ট্রাম্পের মুখের উপর ছোট্ট জাবাব ‘না’ যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ হবে বলে মনে করছে ওয়কিবহাল মহল।