কক্সবাজারে শুরু হওয়া রোহিঙ্গাদের সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে। এসব রোহিঙ্গা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক অভিযানের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
জাতিসংঘ মহাসচিবের উপ-মুখপাত্র জেনারেল ফারহান হক সম্প্রতি জাতিসংঘ সদর দফতরে আয়োজিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া আনুমানিক ৯ লাখ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে এই সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সহায়ক হবে বলে সংস্থা আশা করছে। জাতিসংঘের ওয়েভসাইটে এ খবর জানানো হয়।
ফারহান হক বলেন, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সনাক্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। ছয়মাসব্যাপী এই প্রক্রিয়া একটি সুসংহত ডাটাবেজ তৈরিতে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, ১২ বছরের বেশি বয়সী শরনার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে পরিচয় নিশ্চিত করতে আই স্ক্যান, ফিঙ্গার প্রিন্ট এবং ছবিসহ বায়োমেট্রিক ডাটা ব্যবহার করা হবে।
তিনি জানান, প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে নতুন পরিচয়পত্র দেয়া হবে। রোহিঙ্গাদের অনেকেই এই প্রথমবারের মতো ব্যক্তিগত পরিচয়পত্র পাবে। বলে তিনি জানান।
আন্তর্জাতিক