ডেস্ক রিপোর্ট
পূর্বাচলে স্থায়ী বাণিজ্য মেলা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাবসহ ছয় প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২ হাজার ৯২০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ২ হাজার ৭০ কোটি ১৪ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২২৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া যাবে ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভাশেষে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্প সম্পর্কে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নামে স্থায়ী বাণিজ্য মেলা কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়, ইতোমধ্যে কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য বিভিন্ন অবকাঠামো চীনে তৈরি করা হচ্ছে। সেখান থেকে নিয়ে এসে এখানে সেটিং করা হবে। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই এটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চীন সরকারের অনুদান সহায়তায় বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ১ হাজার ৩০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ২৭৫ কোটি টাকা। সেখান থেকে বাড়িয়ে দ্বিতীয় দফায় ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৯৬ কোটি টাকা। এখন এর সঙ্গে আরও ৫০৭ কোটি টাকা যোগ করা হয়েছে। তবে এ পর্যায়ে বিভিন্ন নতুন নতুন কাজ যুক্ত করা হয়েছে।
প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৪৭৫ কোটি টাকা পাওয়া যাবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে, প্রকল্প সাহায্য হিসেবে চীন সরকারের অনুদান ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ২০২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। এখন দুই বছর বাড়িয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।’
একনেকে অনুমোদন পাওয়া অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো: মাইজদী-রাজগঞ্জ-ছয়ানী-বসুরহাট-চন্দ্রগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ককে যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ, এর বাস্তবায়ন খরচ হবে ২৫২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) এর আওতায় খানজাহানআলী বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের জন্য লিংক প্রকল্পের, ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। বাংলাদেশের ৩৭টি জেলায় সার্কিট হাউজের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ প্রকল্পে খরচ হবে ১৭০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
এছাড়া, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প, যার বাস্তবায়ন ব্যয় হবে ৬৫৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং সারাদেশের পুরাতন খাদ্য গুদাম ও আনুষাঙ্গিক সুবিধাদির মেরামত এবং নতুন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ৩১৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সূত্র: বাসস