ডেস্ক রিপোর্ট
ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত স্থল সীমান্ত চুক্তিসহ বিভিন্ন চুক্তি বাস্তবায়ন দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সবসময় আলোচনার মাধ্যমে সব আঞ্চলিক সমস্যা সমাধান করতে চায় বাংলাদেশ।’ ঢাকা সফররত ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ শনিবার (১৪ জুলাই) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্ত প্রেস সচিব নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ, তার ভূখণ্ডকে ব্যবহার করে কখনোই কোনোভাবেই কোনো সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করতে দেবে না।’
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদ সমূলে উৎপাটনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক পর্যায়ে আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে এ সামাজিক ব্যাধিকে মোকাবিলা করা সম্ভব।’ তবে তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলের কোনো কোনো দেশের কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে রাজনাথ সিং বলেন, ‘৭.৭৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভবত বিশ্বে সর্বোচ্চ এবং দ্রুত বর্ধনশীল জিডিপি।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বর্তমানে সর্বোচ্চ পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠকের কথা স্মরণ করে বলেন, সে বৈঠক ফলপ্রসু হয়েছিল।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল সেক্রেটারি বর্ডার ম্যানেজমেন্ট ব্রজরাজ শর্মা, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা এবং বাংলাদেশের পক্ষে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, মুখ্য সচিব মো.নজিবুর রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দীন আহম্মদ চৌধুরী এবং পুলিশের আইজিপি ড.মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারি এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস