লুঝনিকিতে অবিস্মরণীয় জয়ে বিশ্বসেরার দ্বিতীয় মুকুট ঘরে তুললো ফ্রান্স। অপরদিকে ভালো খেলেও শ্রেষ্ঠত্বের অভিষেক হলো না ক্রোয়েশিয়ার ।
বিশ্বকাপের ফাইনালটা ফাইনালের মতোই হলো। প্রতি মুহূর্তে নতুন রঙ পাচ্ছিলো মাঠের খেলা। গোল পাল্টা গোলে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল শুরু থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় মাঠে ও মাঠের বাইরে। হঠাৎ করেই যেন বদলে যায় দৃশ্যপট। ক্রোয়েশিয়ার ভালো খেলার বিপরীতে গোল পাচ্ছিলো ফ্রান্স। শেষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে শিরোপা জুটে ফ্রান্সের ভাগ্যে। যদিও খেলার ফলাফল দেখে মনে হবে ভীন্ন চিত্র।
ফ্রি কিক বিপদমুক্ত করতে গিয়ে মারিও মানজুকিচের হেডে বল চলে গেল নিজেদের জালে। ১৮ মিনিটের আত্মঘাতী গোলে শুরুতেই ১-০ তে এগিয়ে গেলো ফ্রান্স । ২৮ মিনিটে গোল শোধ করে সমতা ফেরায় ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু ৩৮ মিনিটে গ্রিজম্যানের করা পেনাল্টি গোলে আবারও এগিয়ে যায় ফ্রান্স। প্রথমার্ধ শেষ করে ২-১ ব্যবধানে।
দ্বিতীয়ার্ধে এসেও ফ্রান্সের গোল অভিমুখে একের পর এক আক্রমণ অব্যাহত রাখে ক্রোয়েশিয়া; কিন্তু ধারার বিপরীতে গোল দিয়ে আবারও ব্যবধান বাড়ায় ফ্রান্স। ৫৯ মিনিটে অসাধারণ এক শটে গোল করেন পল পগবা। ৬ মিনিট পর, খেলার ৬৫ মিনিটে কাইলিয়ান এমবাপে দারুণ এক শটে গোল করলে ৪-১ গোলে এগিয়ে যায় ফরাসিরা। সেই সাথে অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের শিরোপা। ডিফেন্ডারদের ব্যর্থতায় ভুগতে হলো ক্রোয়েশিয়াকে। ৬৯ মিনিটে মারিওর গোলে যদিও ব্যবধান কমায় ক্রোয়েশিয়া, শেষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে প্রথম শিরোপা হাত ছাড়া করতে হলো।