বন্দি হিসেবে জেলে কোনও বিশেষ সুবিধে নেবেন না তিনি। আজ হাতে-লেখা বিবৃতি দিয়ে সেই কথা জানিয়ে দিলেন নওয়াজ় শরিফের কন্যা মরিয়ম। তবে তাঁর ভাই হুসেন নওয়াজ় টুইট করে জানিয়েছেন, একটা বিছানা পর্যন্ত দেওয়া হয়নি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। শৌচাগারটিও অত্যন্ত অপরিষ্কার।
বস্তুত, নওয়াজ়-মরিয়ম জেলে ঠিক কী কী সুযোগ-সুবিধে পাচ্ছেন, তা নিয়ে কিছুটা পরস্পর-বিরোধী খবর আসছে। গতকাল শোনা যায়, ‘বি ক্যাটেগরি’-র বন্দি হিসেবে জেলে নিজেদের খরচে এসি, টিভি, খবরের কাগজ ইত্যাদি পাবেন তাঁরা। গত রাতে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে নওয়াজ়-মরিয়মের সঙ্গে দেখা করতে যান আপনজনেরা। সেই দলে ছিলেন নওয়াজ়ের বৃদ্ধা মা শামিম আখতার, নাতনি মেহেরুন্নিসা, ভাই শাহবাজ়, ভাইপো হামজ়া। জেল সুপারের ঘরে দু’ঘণ্টা সাক্ষাৎ হয় তাঁদের। প্রতি বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যেরা তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন বলেও ঠিক হয়।
পরিবারের অন্যদের থেকেই বাবার খবর পান হুসেন। তার পরেই টুইটারে লেখেন, ‘জানতে পারলাম বাবা ঘুমোনোর জন্য বিছানা পাননি। বাথরুমটাও বোধ হয় কয়েক যুগ ধরে পরিষ্কার করা হয়নি। এ দেশে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্মানজনক আচরণের ইতিহাস নেই। কিন্তু এগুলো তো মৌলিক অধিকার।’ তাৎপর্যপূর্ণ হল, জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষে রাত পর্যন্ত হুসেনের এই দাবির কোনও বিরোধিতা করা হয়নি। তবে একটি পাক চ্যানেলের সূত্র জানিয়েছে, ‘বি ক্যাটেগরি’-র বন্দির মর্যাদাই পাচ্ছেন নওয়াজ়। কিন্তু এই শ্রেণির বন্দিরা এসি বা ইচ্ছেমতো খাবার-দাবার পান না। বড়জোর পান কুলার বা পাখা।
মরিয়ম অবশ্য সে সবও নেবেন না বলে জানিয়েছেন। কোনও সরকারি গেস্ট হাউসকে ‘সাব জেল’ ঘোষণা করে তাঁকে সেখানে রাখা হবে বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু আপাতত আদিয়ালা জেলের মহিলা ওয়ার্ডেই রাখা হচ্ছে তাঁকে। মরিয়মের বিবৃতিটি সংবাদমাধ্যমের হাতে এসেছে। তিনি লিখেছেন, ‘‘জেল সুপার আমাকে বলেছিলেন আইন মোতাবেক উন্নত সুযোগ-সুবিধের জন্য আবেদন করতে। কিন্তু আমি তা প্রত্যাখ্যান করেছি। কারও চাপে আমি এটা করছি না। এটা একেবারেই আমার সিদ্ধান্ত।’’ আগামিকাল নওয়াজ়, মরিয়ম ও তাঁর স্বামী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন।