আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত সহিংস হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, আমরা সবগুলো রাজনৈতিক দলকে বলছি যে এ নির্বাচন অত্যন্ত সহিংস হবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। এ সহিংসতা যে শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপরই হবে তা নয়, আমার উপরও টার্গেট আছে। আমার চলাফেরা সীমাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। চাইলেই আমি কোথাও বেরুতে পারি না। অনেকেরই এ অবস্থা।
শনিবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
শাহরিয়ার কবির বলেন, নির্বাচন কারো কারো জন্য উৎসব হতে পারে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা প্রচণ্ড আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। ডিসেম্বরে নির্বাচন আসছে, আবার কোনো কেয়ামত নেমে আসে এটা নিয়ে তারা আতঙ্কগ্রস্ত। কুষ্টিয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমানের উপর হামলার পর তিনি বলেছেন হিন্দুদের ছাল তুলে নেবেন। যে হামলা করেছে তার গায়ে কি লেখা ছিল সে হিন্দু? এ হামলার জন্য তিনি কীভাবে একটা গোটা সম্প্রদায়কে দায়ী করতে পারেন?
তিনি আরও বলেন, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সেজন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সবাইকে এক জায়গায় দাঁড়াতে হবে। একাত্তরের চেতনায় এখানেও দলীয় মতপার্থক্যের উপরে উঠতে হবে। যেসব বাম দলগুলো ১৪ দলের সঙ্গে নেই আমরা তাদের সঙ্গে আগামী এক মাসের মধ্যে এ কথাগুলো বলবো। এ নির্বাচন নিয়ে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না যে, আমারও জানান দেয়া দরকার আমি ভোট পাই না পাই।
একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি কবি জয়দুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা মকবুল-ই-এলাহী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।
এতে আরও অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।