৭ হাজার ৫৩৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ৯টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৭৫১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২৫৮ কোটি ৫৭ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তার যোগান পাওয়া যাবে ৫২৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
রোববার রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল সাংবাদিকদের প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, এখন থেকে ফাইবার অপটিক লাইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেন উইন উইন পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেদিকে নজর দেওয়া হবে। অর্থাৎ অপটিক্যাল ফাইবার লাইন ব্যবহার করে টেলিকমিউনিকেশন নিয়ে যারা কাজ করছেন তারাও যেমন লাভবান হবেন, আবার সরকারও যেন লাভবান হয়, সেজন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়কে সংশ্লিষ্ট সব সুবিধাভোগীদের নিয়ে বৈঠক করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, উপজেলাভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ‘উপজেলা শহর (নন-মিউনিসিপ্যাল) মাস্টার প্ল্যান প্রনয়ন ও মৌলিক অবকাঠমো উন্নয়ন’ নামের একটি বৃহৎ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, উপজেলা শহরে মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়নসহ শহরবাসীর জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি ও পরিবেশের উন্নয়নের বিষয়গুলো বিবেচনা করে অপরিহার্য অবকাঠামোর উন্নয়ন করা হবে। মৌলিক নাগরিক সুবিধা অর্থাৎ সড়ক, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন হবে।
প্রকল্পটি মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার বিভাগ চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হচ্ছে-সরকারি কলেজসমূহে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫১১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ঢাকার বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১৯৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। বিআইডব্লিউটিসির জন্য ৩৫টি বাণিজ্যিক ও ৮টি সহায়ক জলযান সংগ্রহ এবং ২টি নতুন স্লিপওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩১৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। বাংলাদেশ রেলওয়ের ৫৭৫ কিলোমিটার সেকেন্ডারি লাইনে অপটিক্যাল ফাইবার ভিত্তিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন এবং চালুকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৬৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
এছাড়া অন্য প্রকল্পসমূহ হলো-গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (রাস্তা ও ড্রেন) প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৬৬০ কোটি ৮২ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন পরিচ্ছন্ন কর্মী নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২৩১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন ও তথ্যের মাধ্যমে দুঃস্থ জনগোষ্ঠির সহনশীলতা বৃদ্ধি (প্রভাতি) প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। নর্দান ইলকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী লিমিটেড এলকায় ৫ লাখ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৪১৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
অর্থনীতি