মত ও পথ প্রতিবেদন
আজ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলেও স্কুল পোশাক ও ব্যাজ পরা শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এসেছেন। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। যানবাহনের লাইসেন্স পরীক্ষা করছেন। যার লাইসেন্স নেই সেই যানবাহন ট্রফিক পুলিশের কাছে দিয়ে দিচ্ছেন। পুলিশ মামলা দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছেন।
এদিকে গতকাল বুধবারের মতো আজও রাজধানীতে গণপরিবহন সঙ্কট দেখা গেছে। এতে করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে। তাই বাধ্য হয়ে অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
নিরাপত্তার অভিযোগে সরকার দেশের সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও বৃহস্প্রতিবার রাজপথে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে পঞ্চম দিনের মতো রাজধানীর কমপক্ষে ২০টি পয়েন্টে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বাসের লাইসেন্স আছে কিনা তা পরীক্ষা করছেন। তবে গাড়ি চলাচলে বাধা দিচ্ছেন না।
মহনগরীর সড়কে খুবই কম গাড়ির দেখা মিলছে।এতে যাত্রীদের পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে নিরুপায় হয়ে অনেকে হেঁটেই গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন। উল্লেখ্য বুধবার সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলেন।
সরেজমিনে দেখা যায় সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও নিউ মার্কেটের সামনে শিক্ষার্থীরা যানবাহনের লাইসেন্স পরীক্ষা করছে। তবে এসময় তারা যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেনি। এদিকে শাহবাগ, উত্তরা, লালমাটিয়া, আসাদগেট ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনেও সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
এই সুযোগে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার ভাড়া দ্বিগুণ আদায় করছেনে বলে অনেক যাত্রী অভিযোগ করেছেন।
